ঈদে অসচেতনায় জীবনহানির ঝুঁকি দেখছেন ওবায়দুল কাদের

“করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন না হলে এবারের ঈদযাত্রা আমাদের অনেকের জন্য জীবনহানির মতো ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।”

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

ঈদকে সামনে রেখে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থেকে জনগণকে সুরক্ষা দিতে দায়িত্বশীল সকলকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বললেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন না হলে এবারের ঈদযাত্রা আমাদের অনেকের জন্য জীবনহানির মতো ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।”

তবে এটি ধর্মীয় উৎসব হওয়ায় সামাজিক ও ধর্মীয় বাস্তবতায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও জানান তিনি।

ঈদযাত্রায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সর্তর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যে সব পরিবহন মালিক-সমিতি সরকারের সিদ্ধান্ত না মেনে জনস্বার্থ এবং যাত্রীস্বার্থবিরুদ্ধ কাজ করবে তাদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

এজন্য বিআরটিএ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কা রোধে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার ২০শে জুলাই বনানীতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি ‘বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সড়ক মহাসড়কে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে আনফিট যানবাহনে কোরবানির পশু পরিবহন বন্ধ করতে হবে এবং তা উৎসমুখেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি, টার্মিনাল প্রতিনিধি, বিআরটিএ, সিটি কর্পোরেশনসসহ সব অংশীজনদের নিয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

বিআরটিএ’র মোবাইল কোর্ট সার্বক্ষণিক মনিটর করবে, কোনো ধরনের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিতে হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ট্রিপ শেষে গাড়ির ভেতর ও বাইরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, যাত্রাপথে জ্বালানি সংগ্রহ ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না।

ঈদের ৩ দিন আগে থেকে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরি সার্ভিস ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, সড়ক ও মহাসড়কের উপর এবং পাশে কোনোভাবেই পশুরহাট বসানো যাবে না।

ঈদের আগে ও পরে সিএনজি স্টেশনসমূহ খোলা রাখতে জ্বালানি বিভাগকেও অনুরোধ জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এসছানে এলাহিসহ পরিবহন সংশ্লিষ্ট নেতারা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন