|| আদালত প্রতিবেদক, সংবাদ সারাবেলা ||
সিলেটের এমসি কলেজের ভেতরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করতে বিচারিক কমিটি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল- সিলেটের বিচারককে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটিতে অন্য দুইজন হলেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মঙ্গলবার ২৯শে সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তদন্তের আদেশ দিয়ে কমিটি করে দেন। পাশাপাশি সিলেটের এমসি কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে তদন্তসময়ে কমিটির সদস্যদের নিরাপত্তা ও সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন, অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ চৌধুরী।
আদালত থেকে এই আইনজীবী সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, গত ২৫শে সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। এরআগেও এই কলেজে খাদিজা নামের এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ। বার বার কেন এই প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটছে। যা নিয়ন্ত্রন করতে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ও সুপারিনটেন্ডেন্ট ব্যর্থ হচ্ছেন। ২৫শে সেপ্টেম্বরের ঘটনাটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর সে প্রতিবেদনগুলো গত রোববার আমরা আদালতের নজরে আনি। সঙ্গে একটি আবেদনও করি। পরে শুনানি করে আদালত এ আদেশ দেন।