ঢাকায় ঢোকা আর বের হওয়া দুটোই নিষিদ্ধ

অনলাইন প্রতিবেদন, ঢাকা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান ‌সাধারন ছুটির মধ্যে জরুরি সেবায় নিয়োজিতরা ছাড়া বাইরের কাউকে রাজধানীতে আসতে দেবে না পুলিশ। রোববার রাতে এই নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশের মহা পরিদর্শক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি। তিনি বলেছেন, আগামী ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত শুধু ঢাকায় আসা বন্ধই নয়, কেউ ঢাকা ছাড়তেও পারবে না।
শুক্রবার রাজধানীকেন্দ্রিক কিছু কিছু কারখানা চালু হওয়ার খবরে শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৈরি পোশাক শ্রমিকসহ হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় আসতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস মালিকদের ভূমিকাকে অনেকেই স্বেচ্ছাচার বলতেও ছাড়েননি। বিশেষ করে সামাজিক গণমাধ্যমে শুধু গার্মেন্টস মালিকই নন, সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়েননি অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে রোববার রাতে এমন নির্দেশনা দেন আইজিপি। প্রয়োজনয়ীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সদস্যদেরকে কঠোর হতেও বলেছেন তিনি।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারি মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা গনমাধ্যমকে বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের মধ্যে ঢাকার বাইরে থেকে ছুটে আসা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ যেন ঢাকায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে আইজিপির নির্দেশ সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
করেনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলের সহযোগিতা কামনা করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “সকল ধরণের মুভমেন্ট বন্ধ আছে। কেউ ঢাকার বাইরে যেতে পারবেন না, ঢাকায় ঢুকতে পারবেন না। যে যেখানে আছেন সেখানে অবস্থান করবেন, কোথাও সমবেত হতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।”
তবে একান্ত জরুরি প্রয়োজন থাকলে তার বা তাদের বিষয়টি শিথিলযোগ্য হতে পারে বলে জানান তিনি।
রোববার থেকে গার্মেন্টস খোলার খবরে শনিবার দিনভর আশেপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার শ্রমিককে ঢাকার পথে দেখা যায়।
করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে ঘরে অবস্থানের নির্দেশনার মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শত শত নারী-পুরুষের পায়ে হাঁটা মিছিল ও ফেরীতে শত শত মানুষের গাদাগাদি করে পদ্মা পার হওয়ার ছবি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্তের মধ্যে কারখানা খোলার সিদ্ধান্তের জন্য মালিকদের এবং হাজার হাজার মানুষকে দলে দলে এতোটা পথ পাড়ি দিতে দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন সমালোচনার মুখে পড়ে।
পরে রাতে ১১ই এপ্রিল সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটি পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ মালিকদের অনুরোধ করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন