জোরালো হচ্ছে খাবারের দাবি বাড়ছে বিক্ষোভ

|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
এখন পর্যন্ত মোকাবিলার বাইরে থাকা করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে দেশজুড়ে বাড়ছে খাদ্যসংকটে পড়া মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভ। আজো অর্থাৎ মঙ্গলবার দেশের কমপক্ষে চারটি জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে খাবারের দাবিতে। বিক্ষুব্ধ এসব মানুষের বেশীরভাগই দিনমজুর ও নিম্নআয়ের। করোনাদুর্যোগে অবরুদ্ধ পরিস্থিতি আর কাজের সুযোগ না থাকায় এসব মানুষ দুমুঠো খাবার তুলে দিতে পারছে না তাদের সন্তানের মুখে।
উত্তরের বিভাগ রংপুরের হারাগাছে ত্রাণসহায়তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে হাজারের বেশী মানুষ। এদেশের বেশীরভাগই বিড়িশ্রমিক। কারখানা বন্ধ থাকায় তাদের কোন কাজ নেই। নেই পারিশ্রমিকও। তাদের অভিযোগ সরকারি পর্যায় থেকে তারা কোন ত্রাণসহায়তা পাননি।
তবে হারাগাছ পৌরমেয়র হাকিবুর রহমান বলেছেন, ত্রাণ পর্যাপ্ত না হওয়ায় তিনি সামাল দিতে পারছেন না। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে তার এলাকার জন্য পাওয়া গেছে মাত্র ৫ টন চাল ও ৬শ’ খাবারের প্যাকেট। অথচ পৌর এলাকায কমপক্ষে ৫৬ হাজার মানুষের বাস।
রাজশাহীতেও বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ মানুষ। জেলার পবা উপজেলার মুশরাইল নতুন পাড়ার প্রায় চারশ’ পরিবার খাবারের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে।স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য ৪০টি পরিবারকে দেওয়ার মত ত্রাণ নিয়ে গেলে অন্যরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। তবে লাঠিপেটার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ।
এছাড়া বিক্ষোভ হয়েছে জেলার মোহনপুরে। এখানে ত্রাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় শতাধিক দিনমজুর। উপজেলার বিদিরপুর গ্রামে হওয়া এ বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেন। ত্রাণের আশ্বাস দিলে ফিরে যায় বিক্ষোভকারীরা।
যশোর জেলা শহরের রেলগেট এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে খাদ্য সহায়তার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ’ মানুষ। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা আখতারের নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে সহায়তার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, করোনার কারণে তাদের কোন কাজ নেই। অথচ সরকারের দিক থেকে তাদের কোন খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে না।
এদিকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরেও মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে হাবড়া রসুলপুর ও হিন্দুপাড়া এলাকার হাজারের বেশী মানুষ। তাদের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত তারা কোন সহায়তা পাননি। খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান গিয়ে দ্রুত ত্রাণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনাজ মিথুন মুন্নী বলেন, যারা এখনো ত্রাণ সহায়তা পায়নি দ্রুত তাদেরকে সহায়তা দেওয়া হবে।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন