|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
জলবায়ু অভিঘাত ও এর নিশ্চিত ক্ষতি থেকে বিশ্ব ও মানবাজাতিকে রক্ষা করতে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের এক গোলটেবিল বৈঠকে ভিডিওবার্তায় এসব প্রস্তাবনা রাখেন। বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাবনা
রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে উৎসাহিত করতে হবে
বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখা এবং প্যারিস চুক্তির সবগুলো অনুচ্ছেদের বাস্তবায়ন
জলবায়ু অভিঘাতে বিপর্যস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত তহবিল সরবরাহ করা
দূষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই প্রশমনমূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) বাড়াতে হবে এবং
জলবায়ু শরণার্থীদের পুনবার্সন কার্যক্রমকে বৈশ্বিক দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবেলায় অভিযোজন ও সামলে নেওয়ার পথপদ্ধতিতে বাংলাদেশের ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করার মতো জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং পানি ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানাতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষায় চার হাজার ২৯১টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৫২৩টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করেছে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, “এ কারণেই আমরা ‘আরইএপি’ উদ্যোগে যোগ দিয়েছি, যার লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১০০ কোটি মানুষকে দুর্যোগ থেকে নিরাপদ করা।”
বাংলাদেশ সিভিএফের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সম্প্রতি ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপ্টেশনের আঞ্চলিক অফিস প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।