খাদ্যসহায়তা নিয়ে অনিয়মে সাময়িক বরখাস্ত ৭৪ জনপ্রতিনিধি

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দুর্গতদের জন্য রাষ্ট্রের দেওয়া খাদ্যসহায়তা নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ৭৪ জন জনপ্রতিনিধি।

সবশেষ রোববার খাদ্যসহায়তা দেওয়ায় অনিয়ম ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহার ও শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দোহা। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে রোববার তাদের বরখাস্ত করে আদেশ জারি করা হয়।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে এ ধরণের জনবিরুদ্ধ কাজে জড়িত অভিযোগে যে ৭৪ জন জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হয়েছেন তাদের ২৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪৫ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, তিনজন পৌর কাউন্সিলর ও একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম নেহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এই জনপ্রতিনিধি করোনাদুর্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণে অনিয়ম করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে পরিবারের সচ্ছল সদস্য, আত্মীয়স্বজনসহ ১৬ জনের নাম ওএমএসের ভোক্তা তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশীনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দোহা মত্স্যজীবীদের ভিজিএফের ৩৫ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন। কাজেই ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯’ অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। একই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শরীয়তপুর জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন