স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির পদটা ছাড়তেই হলো আবুল কালাম আজাদকে

এমনিসব অভিযোগের মুখে শেষপর্যন্ত নিজের পদটা ধরে রাখতে পারলেন না ডা. আবুল কালাম আজাদ। তবে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

করোনাকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একচ্ছত্র কর্তা বনে গিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। অভিযোগ রয়েছে, নিজের কর্তৃত্বেই চুক্তি করেছিলেন রিজেন্ট ও জেকেজি’র মত প্রতারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। করোনার শুরুতে মাস্ক সরবরাহ কেলেঙ্কারিতেও তার উপস্থিতি রয়েছে বলেও রয়েছে অভিযোগ। ডাক্তারদের জন্য হোটেল ভাড়া প্রসঙ্গে অনিয়মের তথ্য জানতে চাইলে সময় টেলিভিশনের সাংবাদিককে একহাত নিতে এমনকি ধমকের সুরে কথা বলতেও পিছপা হননি এই স্বাস্থ্যঅধিপতি।

এমনিসব অভিযোগের মুখে শেষপর্যন্ত নিজের পদটা ধরে রাখতে পারলেন না ডা. আবুল কালাম আজাদ। তবে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঙ্গলবার দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে ডা. আবুল কালাম আজাদ এই অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (প্রশাসন) দায়িত্বে ছিলেন। এরআগে তিনি সংস্থাটির ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের পরিচালক এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) দায়িত্ব পালন করেন।

চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর চুক্তিতে ফের অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে দায়িত্ব পান ডা. আজাদ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল।

গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে একের পর এক কেলেঙ্কারির জন্ম হয় তারই নেতৃত্বে থাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। শুরুতে এসব সমালোচনা উপেক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত রিজেন্ট হাসপাতাল ও জিকেজে’র প্রতারণা আর অনিয়ম প্রকাশের পর সরকার-সংশ্লিষ্টদের কাছে এক প্রকার নেতিবাচক অবস্থান তৈরি হয় তার। বিশেষ করে রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তোলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এজন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিসও দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডা. আবুল কালাম আজাদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৮৩ সালে এমবিবিএস পাস করেন। অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান ২০০১ সালে। এরআগে ১৯৯০ সালে এমফিল ডিগ্রি নেন সেসময়ের ইন্সটিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ-আইপিজিএমআর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন