সাইবার অপরাধের সরাসরি প্রতিকার দিতে দেশে চালু হচ্ছে বিশেষ থানা

সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন এমন মানুষদের অভিযোগ জানানো ও মামলা করবার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে উদ্যোগি হয়েছে পুলিশ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অধীনে এজন্য চালু হচ্ছে বিশেষ থানা।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন এমন মানুষদের অভিযোগ জানানো ও মামলা করবার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে উদ্যোগি হয়েছে পুলিশ। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অধীনে এজন্য চালু হচ্ছে বিশেষ থানা। পুলিশ বিভাগের অধীনে এই ধরণের প্রথম থানার নেতৃত্বে থাকবেন একজন অতিরিক্ত ডিআইজি। এই থানার দুটি শাখা থাকবে- মনিটরিং ও তদন্ত, যার দায়িত্বে থাকবেন দুজন পুলিশ সুপার। দুই শাখায় দুজন করে চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, আটজন সহকারী পুলিশ সুপার, ৩০ জন ‍পুলিশ পরিদর্শক ও অন্তত ৬০ জন এসআইসহ এই থানায় তিন শতাধিক জনবল থাকবে।

পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী, এখন থানাগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে পরিদর্শকরা দায়িত্ব পালন করেন। সাইবার থানা এমন প্রথম থানা হবে, যেখানকার ওসি হবেন তার চেয়ে কয়েক ধাপ উপরের একজন পুলিশ কর্মকর্তা।

সাইবার থানার ধারণা অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও বিশ্বের অনেক দেশে এই কার্যক্রম চলছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিআইডিতেও গতবছর সাইবার থানা চালু করা হয়েছে। তবে সেখানে থানার ওসি একজন পরিদর্শক।

সাইবার থানার বিস্তারিত রূপরেখার খসড়া তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের ডিআইজি শাহ আলম বলেন, “এই ধরণের রূপরেখার চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ, ‘শিগগিরই’ পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকায় একটি সাইবার থানা চালু করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।”

তিনি জানান, পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রশাসনিক পুনবির্ন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিতে (নিকার) খসড়াটি পাস হওয়ার পর সাইবার থানার কার্যক্রম পুরোদমে চলবে। তবে নিকারে পাসের আগেই তা পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হবে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভবনও খোঁজা হচ্ছে। পছন্দমতো কোথাও ভবন না পেলে সিআইডি কার্যালয়ের একটি ফ্লোরে এই থানার কাজ শুরু হবে।

শাহ আলম বলেন, “এখন সিআইডির সাইবার ক্রাইম সেন্টার ভুক্তভোগীদের সমস্যা শুনে প্রতিকারের জন্য থানায় অভিযোগ করতে বা আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেয়। কিন্তু সাইবার থানা হলে ভুক্তভোগীরা সেখানেই মামলা করতে পারবেন। ফলে তার সেবা পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।”

এখন সাইবার ক্রাইম সেন্টারের হটলাইন ০১৭৩০৩৩৬৪৩১ নম্বরে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ফোন করে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত সমস্যায় পরামর্শ নেওয়া যায় বলেও জানান তিনি।

তবে বিশেষ এই থানা থেকে সারা দেশের মানুষ অনলাইনে সেবা নিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে ডিআইজি শাহ আলম বলেন, “আগে চালু হোক। পরে ধাপে ধাপে সব কিছু করা যাবে।”

উল্লেখ্য, সাইবার অপরাধ বিষয়ে সিআইডির প্রশিক্ষিত দেড় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য বিভিন্ন থানায় কর্মরত রয়েছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন