।। রাষ্ট্র কথা ।।
সংবাদপত্রের মুদ্রিত ও অনলাইন সংস্করণের কনটেন্টে ভিন্নতা থাকলে অনলাইন সংস্করণের জন্য পৃথক নিবন্ধন লাগবে। এ মর্মে বিধান রেখে ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭’ সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী ছাপা পত্রিকার ই-পেপার অনলাইনে প্রকাশের জন্য পৃথক নিবন্ধন লাগবে না। তবে প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে মধ্যে ভিন্নতা থাকলে সেক্ষেত্রে অনলাইনের জন্য নিবন্ধন লাগবে।একইভাবে, টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারের নিউজ পোর্টাল চালাতে হলেও পৃথক নিবন্ধন করতে হবে।
সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগের নীতিমালার নয়টি অনুচ্ছেদ সংশোধন করে পাঁচটি নতুন অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
“অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নিবন্ধন ফি, কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ, লাইসেন্সপ্রাপ্ত টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতারের নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রচারকাজ পরিচালনা এবং আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিওর সম্প্রচার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা (নীতিমালায়) ছিল না, এগুলো ইনক্লুড করা হচ্ছে।”
এর আগে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
দেশের টেলিভিশন এবং বেতারগুলোও এখন নিউজ পোর্টাল চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, এতদিন এজন্য অনুমতি নিতে হত না, এখন নিতে হবে। আইপি টিভি, ইন্টারনেট রেডিও সম্প্রচারের বিষয়ে (নীতিমালায়) সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না, এসব বিষয় নীতিমালায় যুক্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো হার্ডকপিতে যা ছাপছে, হুবুহু সেটাই যদি অনলাইনে দিয়ে দেয়, তাহলে কোনো অনুমতি লাগবে না। কিন্তু যদি কেউ ভ্যারিয়েশেন করে, তখন তাকে অনুমতি নিতে হবে। কারণ অনেকেই হুবুহু তা দিচ্ছে না। অনলাইন সংস্করণে ভেরিয়েশন থাকলে লাইসেন্স নিতে হবে।
“রেডিও-টেলিভিশন তো অনলাইন করার জন্য না, তারা যে মাধ্যমে চালাবে সেই মাধ্যমে…, তারপরেও যদি অনলাইন করতে হয়, তাহলে রেডিও-টেলিভিশন দুটোকেই (অনলাইনের) অনুমতি নিতে হবে, নিবন্ধন নিতে হবে।”
যতক্ষণ পর্যন্ত সম্প্রচার কমিশন না হবে, ততক্ষণ তথ্য মন্ত্রণালয় যে কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে সেই কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় দেখভাল করবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিসভার এ বৈঠক ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বৈঠকে যুক্ত হন। মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সচিবেরা সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষ থেকে বৈঠকে যোগ দেন।