মুশতাকের মৃত্যু মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন

কমিশন মনে করে, অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো মৃত্যু সংবিধান ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র বা তার অধীনস্থ কোনো সংস্থা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’

|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||

কারাবন্দী অবস্থায় লেখক অ্যাক্টিভিস্ট মুশতাক আহমেদের মৃত্যুকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একইসঙ্গে এভাবে একজন নাগরিকের মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগও জানিয়েছে কমিশ। শনিবার গণমাধ্যমে কমিশনের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  ‘গত বছরের মে মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাঁর (লেখক মুশতাক) বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে র‌্যাব।

কমিশন মনে করে, অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো মৃত্যু সংবিধান ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। কারাবন্দী অবস্থায় মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র বা তার অধীনস্থ কোনো সংস্থা কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। এটি মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’

বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন করে কমিশনকে জানানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় লেখক মুশতাক আহমেদ গ্রেফতারের পর ১০ মাস ধরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে রাখা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি কারাগারে মারা যান।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, মুশতাক শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর থেকেই একে রাষ্ট্রিয় খুন দাবি করে বিক্ষোভ প্রতিবাদ করছে দেশের সচেতন মানুষ বিশেষ করে শিক্ষাথীর্রা। উদ্বেগ জানিয়েছেন ঢাকায় ১৩টি দেশ ও সংস্থার দূতেরা।

সংবাদ সারাদিন