বকেয়া বিদ্যুত বিল সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা

বেসরকারি খাতের গ্রাহকদের কাছে বকেয়া রয়েছে ৬ হাজার ৯৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর সরকারি বিভিন্ন দফতরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ৭৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া আধা সরকারি খাতে ১৯৭ কোটি ১১ লাখ এবং স্থানীয় সরকার খাতে ৬৪৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||

গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎবিক্রি বাবদ রাষ্ট্রের পাওনা ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের গ্রাহকদের কাছে বকেয়া রয়েছে ৬ হাজার ৯৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর সরকারি বিভিন্ন দফতরের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা ৭৪৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া আধা সরকারি খাতে ১৯৭ কোটি ১১ লাখ এবং স্থানীয় সরকার খাতে ৬৪৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ৭ই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

কমিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বকেয়া বিল আদায়ে ব্যবস্থা নেওয়া এবং সারা দেশে দ্রুত প্রিপেইড মিটার বসাতে বলেছে। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করতে সচিব কমিটির বৈঠকে বিষয়টি আলোচনা করতে বলেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিল বকেয়া আছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের। তারা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাবে ৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, বকেয়া বিল আদায়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বলেছে কমিটি। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবকে বলা হয়েছে, সচিব কমিটির বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সচিবদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরতে। শহীদুজ্জামান বলেন, প্রিপেইড মিটারে বিদ্যুতের অপচয় ও চুরি দুটোই কম হয়। বিল বকেয়া রাখারও সুযোগ নেই। এ জন্য কমিটি দ্রুত সবখানে এই মিটার স্থাপন করতে বলেছে।

শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও নার্গিস রহমান অংশ নেন।

সংবাদ সারাদিন