|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনও ছিলেন এসময়ে।
রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে শনিবার সকাল সাড়ে ৫টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সরকারপ্রধান। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সালাম জানায়; বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
এরপর কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ১৫ই অগাস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
স্বাধীনতার চার বছরের মধ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল কর্মকর্তা ও সৈনিক খুন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বেশীর ভাগ সদস্যকে। তার পরিবারের ছয় বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্তঃসত্ত্বা নারীও সেদিন ঘাতকের গুলি থেকে রেহাই পায়নি।
জাতীয় এই শোকের দিনে শনিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে, পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচি।
৪৫ বছর আগে সেই রাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু ছাড়াও স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল, শেখ জামালের স্ত্রী রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ নাসেরকে হত্যা করে। খুন করা হয় বঙ্গবন্ধুর বোনের স্বামী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও শিশুপৌত্র সুকান্ত বাবু; বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, নিকট আত্মীয় শহীদ সেরনিয়াবাত ও রিন্টুকে।
স্বাধীনতাবিরুদ্ধ ঘাতকরা হত্যা করে ধানমণ্ডির বাড়িতে দায়িত্বপালনকারী পুলিশের বিশেষ শাখার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলকেও। বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় দাফন করা হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের দাফন করা হয় ঢাকার বনানী কবরস্থানে।
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় সে সময় প্রাণে বেঁচে যান।
ধানমণ্ডি থেকে প্রধানমন্ত্রী যান বনানী কবরস্থানে। সেখানে জাতির পিতার পরিবার সদস্য ও অন্যদের কবরে ফুল দেন তিনি। পরে সেখানে মোনাজাত ও দোয়ায় অংশ নেন।