|| বাসস, ঢাকা ||
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি বুধবার ১৭ই মার্চ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময়ের জন্য নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। এ সময় সেখানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে উঠে। প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট শহীদ অন্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে প্রবেশ করেন এবং ১৫ই আগস্ট কালো রাতে এ মহান নেতার রক্তাক্ত নিথর ও গুলিবিদ্ধ লাশ সিঁড়ির যেখানে পড়ে ছিল সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
একশ’ বছর আগে ১৭ই মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান ও সায়রা খাতুনের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
এ দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হচ্ছে।
এর আগে সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬শে মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরে, এ বছরের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউনেস্কোর উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী মুজিববর্ষ পালন করা হচ্ছে।