সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা
করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সাধারণ নাগরিকদের উপাসনালয়ে না গিয়ে বাসায় থেকে নামাজ ও প্রার্থনা সারতে বলেছে সরকার।
সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মসজিদ বন্ধের সিদ্ধান্ত আসার পর দেরিতে হলেও বাংলাদেশ সরকার একই ধরনের নির্দেশনা দিল।
এ আদেশ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন সই করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৯শে মার্চ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডাকে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা মিলিত হয়ে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত রাখার বিষয়ে সর্বসম্মত আহ্বান জানিয়েছিলেন।
কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হওয়ার প্রেক্ষিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সকলের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
>> মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম ব্যতীত অন্য সকল মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণ এর পরিবর্তে জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
>> মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজন হলে প্রতি ওয়াক্তে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং জুমার জামাতে সর্বোচ্চ ১০ জন শরিক হতে পারবেন।
>> অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের উপাসনালয়ের সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসায় উপাসনা করার নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
>> সারাদেশে কোথাও এখন ওয়াজ-মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগ তালিম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে বিপদমুক্তির প্রার্থনা করবেন।
>> অন্যান্য ধর্মের অনুসারীরা এই সময়ে কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে সমবেত হতে পারবেন না।
“সব ধর্মের মূল নীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে” এই নির্দেশনা জারি করা হলো জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিকে অনুরোধ জানানো হল। কোন প্রতিষ্ঠানে সরকারি নির্দেশে লংঘিত হলে প্রশাসন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।”#
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/Nazrul-04-1.jpg?fit=300%2C204&ssl=1)