|| বার্তা সারাবেলা ||
আল জাজিরার প্রতিবেদনে ভুল তথ্য ছড়ানোর হয়েছে জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, কাতারভিত্তিক এই সম্প্রচারমাধ্যমটির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে তার সরকার।
শেখ হাসিনার ওপর ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় তাকে দেহরক্ষীরা নয়, দলীয় সদস্যরা রক্ষা করেছিলেন উল্লেখ করে বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনও কাউকে তার দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেননি। দলের (আওয়ামী লীগ) সদস্যরাই সর্বদা তার দেহরক্ষী। খবর ইউএনবির
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে আল জাজিরা তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় সম্প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বলেছে, এটি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে ফাটল ধরানোর পদক্ষেপ।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদে বলা হয়, আল জাজিরায় প্রকাশিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে প্রচারিত ও প্রকাশিত প্রতিবেদনটির তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদরদপ্তর।
এতে বলা হয়, সেনাবাহিনী মনে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে ফাটল ধরানো এবং জাতীয় উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যারা আগেও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
এতে বলা হয়, আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনে মন্তব্যকারীরা হলেন- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ডেভিড বার্গম্যান, মাদকাসক্তির অভিযোগে বাংলাদেশ সামরিক একাডেমি থেকে বহিষ্কার হওয়া প্রাক্তন ক্যাডেট জুলকারনাইন সায়ের খান (প্রতিবেদনে সামি হিসেবে চিত্রিত) ও কুখ্যাত নেত্রা নিউজের চিফ এডিটর তাসনিম খলিল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও স্বার্থান্বেষী ওই ব্যক্তিত্বদের মধ্যে যোগসাজশ তাদের অতীতের পরিচয়পত্রগুলোতে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।