|| আদালত প্রতিবেদক, ঢাকা ||
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদেন শুনানি নিয়ে সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ভার্চ্যুয়াল আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশিদ আলম খান। খালিদীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, আব্দুল মতিন খসরু, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী।
হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি করে ১০ই সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের ভার্চুয়াল চেম্বারজজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে ওই দিন দুদকের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চেম্বার বিচারপতি জামিনের মেয়াদ জানতে চাইলে আমি বলেছি ২৬শে অক্টোবর পর্যন্ত। কেন লিভ টু আপিল করেছি এবং কেন দেরিতে আবেদন করেছি এ বিষয়ে বলেছি, আবেদনটি পরদিনই ফাইল করেছিলাম। কিন্তু আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি পেতে দেরি হয়েছে। তখন বিচারপতি বলেছেন ২১শে সেপ্টেম্বর ফুলকোর্টে শুনবেন।
গত ৩০শে জুলাই এই মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭ (১) ধারায় দায়ের করা মামলাটির এজাহারে বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী চারটি ব্যাংকের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ওই টাকা অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ই অক্টোবর দিন রেখেছেন। এর আগে গত ২৬শে আগস্ট সে আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আট সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। চলতি সপ্তাহে এ জামিন আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি পাওয়ার পরই আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দুদক; যেখানে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বাতিল চাওয়া হয়েছিল।