|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
মারা গেলেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নিয়েও বাঁচানো গেল না তাঁকে। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১১টা) দলের সভাপতিমন্ডলীর এই সদস্য মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ আনিস। চিরকুমারী সাহারা খাতুনের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
এর আগে গত ২রা জুন জ্বর ও অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় সাহারা খাতুনকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১৯শে জুন সকালে নেওয়া হয় আইসিইউতে।
এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২শে জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬শে জুন সকালে শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
এরপর তার অধিকতর উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৬ই জুলাই তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ড নেওয়া হয়। সেখানে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
১৯৪৩ সালের পয়লা মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্ম গ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। এরপর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাহারা খাতুন তৃতীয় মেয়াদে জাতীয় সংসদে ঢাকা-১৮ আসনের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মহিলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।
