|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
সংবিধানের “নিয়মরক্ষা” করতে হবে তাই অনুষ্ঠান করতে হলো জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শনিবার বিকেল ৫টায় এই অধিবেশন শুরু হয়, যা চলে দেড় ঘণ্টারও কম সময়।
অধিবেশন শুরু করতে গিয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “আসুন আমরা ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে এই সংকট উত্তরণ ঘটাই। আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি, নিয়মিত ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করি। নিজ বাড়িতে অবস্থান করি। আমাদের সকলের দায়িত্বশীল আচরণ এই সংকট উত্তরণের পথ সহজ করবে।”
পরে স্পিকার অধিবেশনের সমাপনী সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করে শোনান। রাষ্ট্রপতি তার আদেশে বলেন, “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের ১ দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আহূত একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসমাগম পরিহার করার জন্য জনস্বার্থে …সমাপ্তি করিতেছি।”
সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সব সদস্যই মাস্ক-গ্লাভস পরে ছিলেন। অনেকের মাথায় ছিল সার্জিকাল টুপিও। সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখেন তারা।
যদিও আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, কোরাম পূর্ণ হওয়ার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন ৬০ জন বা তার সামান্য কিছু বেশি সদস্য সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন। যে কারণে প্রবীণ সংসদ সদস্য এবং ঢাকার বাইরে রয়েছেন এমন সংসদ সদস্যদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ছিল না।
বিপর্যস্ত এই পরিস্থিতিতেও কেন অধিবেশন অনুষ্ঠান করতে হলো তার কারণ ব্যাখ্যা করেন। বলেন, সংসদের এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার সংসদ বসার বাধ্যবাধকতা সংবিধানে রয়েছে। সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ই ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ই এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা ছিল।
এর পরপরই বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে অধিবেশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন স্পিকার। অধিবেশনের শুরুতে করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে এই ভাইরাসে যারা মারা গেছেন, তাদের জন্য শোক জানান স্পিকার।
অধিবেশন চলাকালে সংসদ ভবনে জনসমাগম এড়াতেও নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের খবর সংগ্রহে সংসদে না যেতে অনুরোধ করা হয়।এছাড়া অধিবেশনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সংসদ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া অন্যদের উপস্থিত না হতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।#