নেইমারকে অপরিহার্য মানলেও অপূরণীয় বলছেন না তিতে

খেলা সারাবেলা
ব্রাজিল কোচ তিতের কাছে নেইমার অপরিহার্য হলেও অপূরণীয় নয়। দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে ছাড়া খেলা নিয়েও উদ্বিগ্ন নন তিনি।যদিও নেইমার এখনো ব্রাজিলের আক্রমণভাগের সেরা অস্ত্র।
বার্সেলোনা থেকে ২০১৭ সালে দলবদলের রেকর্ড গড়ে নেইমার যোগ দেন পিএসজিতে। প্যারিসে পরিকল্পনা অনুযায়ী সময় কাটাতে পারেননি নেইমার। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুই মৌসুমেই ছিলেন মাঠের বাইরে। তাকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লক্ষ্য পূরণ হয়নি পিএসজির। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের বার্সেলোনায় ফেরা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
তিতে মনে করেন, তারকা এই ফরোয়ার্ড তার ক্যারিয়ারের সেরা ফুটবল খেলেছেন কাম্প নউয়ে। তাই তিতের কথা, “নেইমার অপরিহার্য, তবে অপূরণীয় নয়। প্রত্যেক ম্যাচে আমি নিজেকে একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি, কীভাবে আমি তার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনব, তাকে ঘিরে দল আর ভারসাম্য গড়ে তুলব?”
“জাতীয় দলের মতো ক্লাবে যে পজিশনে আমি তাকে সবচেয়ে ভালো খেলতে দেখেছি, সেটা হচ্ছে বাঁদিক থেকে ভেতরে ঢোকা… আমি সেই সময়টায় (বার্সেলোনায়) সেরা নেইমারকে খেলতে দেখেছি। সে যে পর্যায়ে পৌঁছেছিল তার ওপরে ছিল কেবল (লিওনেল) মেসি ও (ক্রিস্তিয়ানো) রোনালদো। (এদেন) আজার, (অঁতোয়ান) গ্রিজমান বা (পল) পগবাকে আমি কখনোই এই পর্যায়ে খেলতে দেখিনি।”
চোটের জন্য দেশের মাটিতে গত কোপা আমেরিকায় খেলা হয়নি নেইমারের। তাকে ছাড়াই শিরোপা জিতে ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হারের দুঃস্বপ্ন কিছুটা চাপা দেয় ব্রাজিল।
তিতে এও বলেন, “দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকা জেতা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ… টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েকদিন আগে চোটের জন্য নেইমারকে হারানোয় এই শিরোপা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমাদের জন্য শিরোপা জেতাই একমাত্র পথ ছিল।”
এছাড়া যখন মেসিসহ আর্জেন্টিনা, (এদিনসন) কাভানি ও (লুইস) সুয়ারেসসহ উরুগুয়ে কিংবা হামেসসহ (রদ্রিগেস) কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে তখন তার অনুপস্থিতি অবশ্যই মানসিক অস্থিরতা তৈরি করবে। তবে নেইমার খেলায় অননুমেয়তা নিয়ে আসে। সে একক বা দলীয় সমাধান এনে দেবে, যা অন্যদের নেই।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন