অনলাইন ডেস্ক
বৃষ্টিতে ক্রিকেট ম্যাচ বন্ধ। বৃষ্টি থামার পর আবার শুরু হবে খেলা। উপায় কী? কোন নিয়মে চলবে খেলা? ওয়ানডে ক্রিকেট সহজ করতে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন দুই গণিতবিদ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও টনি লুইস। ক্রিকেটের অতি পরিচিত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির যৌথ আবিস্কারকের একজন টনি লুইস মারা গেছেন।
৭৮ বছর বয়সে মারা গেছেন ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা লুইস। লুইসের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
লুইসের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে ইসিবি বলেছে, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে ইসিবি জানতে পেরেছে যে ৭৮ বছর বয়সে মারা গেছেন টনি লুইস এমবিই।’
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পরে ব্যাটিং করা দলের লক্ষ্য কতো হবে, ওভারের হিসাবটা কেমন থাকবে; ১৯৯৭ সালে গণিতবিদ সতীর্থ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থকে সঙ্গে নিয়ে সেই পথ বাতলে দেন টনি লুইস। আবিষ্কারক হিসেবে তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি বা ডিএল।
আবিষ্কারের দুই বছর পর ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি ওয়ানডে ক্রিকেটে চালু করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। কয়েক বছর পর ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিটি হালনাগাদ করেন অস্ট্রেলিয়ার অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন। যেটা গ্রহণ করে আইসিসি। ২০১৪ সালে এসে পরিবর্তন করে পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন বা ডিএলএস।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি ব্যবহার শুরুর আগে ওয়ানডেতে অদ্ভুত নিয়ম চালু ছিল। ওই নিয়মে হিসাবটা ছিল এমন যে, রান তাড়ায় যত ওভার কাটা যেত, প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা দলের সবচেয়ে কম রান ওঠা সেই কয় ওভারের রান বাদ দেওয়া হতো।
এতে হিসাবটা জটিল হয়ে উঠতো। যা নিয়ে আপত্তি থাকতো প্রায় সব দলেরই। যদিও ওই নিয়মের বিরুদ্ধে বলার উপায় ছিল না। কারণ আইসিসিই এমন নিয়ম চালু রেখেছিল। ওই নিয়মের কারণে ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার সেমিফাইনাল ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে আছে।
রান তাড়া করছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টি নামার আগে ১৩ বলে ২২ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের। কিন্তু বৃষ্টি থামার পর মাত্র এক বলে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য হয়ে যায় ২১ রান। এসব দেখেই যাকওয়ার্থকে সঙ্গে নিয়ে ওয়ানডের জন্য পদ্ধতি আবিষ্কার করেন বুধবার না ফেরার দেশে চলে যাওয়া টনি লুইস।#
