|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বরিশাল ||
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয় পরিবহন শ্রমিকদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সর্বস্তরের শিক্ষার্থি ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি করেছে তারা। মঙ্গলবার গভীর রাতে বরিশাল শহরের রূপাতলী হাউজিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালায় রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডের পরিবহন শ্রমিকরা। এতে ১১ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভের পর বুধবার ১৭ই ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিশ্ববি্দ্যালয়ের সামনে আবারো সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। হামলার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের নুরুল্লাহ সিদ্দিকী, রসায়ন বিভাগের এস এম সোহানুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আহসানুজ্জামান, গণিত বিভাগের ফজলুল হক রাজীব, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আলীম সালেহী, বোটানি ও ক্রপ সাইন্সের আলী হাসান, বাংলা বিভাগের মো. রাজন হোসেন এবং মার্কেটিং বিভাগের মাহবুবুর রহমান, মাহাদী হাসান ইমন, মিরাজ হাওলাদার ও সজীব শেখ।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে ছুড়িকাঘাত ও লাঞ্ছিত করার পর হামলাকারী পরিবহন শ্রমিকের বিচার দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর জেরে অবরোধের সময় নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থী মাহামুদুল হাসান তমালের মেসে গভীর রাতে হামলা চালায় পরিবহন শ্রমিকরা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী মেসের শিক্ষার্থীরা তমালকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এসময়ে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে আহতদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, রাতে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তিনি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা। পরে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।