দুর্নীতি অনিয়ম সবই করছেন বুড়াবুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল আলম বলেন, আমি এগুলো জেনেছি, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||

অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের  উলিপুর  উপজেলার  বুড়াবুড়ি   উচ্চ  বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষকের  বিরুদ্ধে। এস.এস.সি ‘র  ফরম ফিলাপে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠুনকো অভিযোগে কর্মচারী ছাঁটাই, শিক্ষক  ও কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন তিনি। এছাড়াও স্কুল কমিটির সভাপতির সঙ্গে মিলে নিয়োগ-বাণিজ্য থেকে কয়েক লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেয়ার  অভিযোগ  রয়েছে ।  

এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শামসুল  আলম  বলেন, আমি এগুলো জেনেছি, সুষ্ঠু  তদন্ত সাপেক্ষে  ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, স্কুলের এমএলএসএস ( নৈশপ্রহরী)  মো. আলম হোসেন  গত ২৫শে মার্চ  ২০১৯  তারিখে  পারিবারিক  সমস্যার কারণে কাজে অনুপস্থিত থাকেন। পরে  অনুপস্থিত  থাকার কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে ব্যর্থতার অজুহাতে ২৭শে নভেম্বর ২০১৯ তারিখে  তাকে সাময়িক  বরখাস্ত  করা হয়। আলম হোসেন চাকরি ফেরত পেতে স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হলে তাদের সুপারিশে ব্যবস্থপনা কমিটির  সভাপতি  ও প্রধান শিক্ষক বিধি মোতাবেক তাকে পুর্ননিয়োকের আশ্বাস দেন।

ইতিমধ্যে  ম্যানেজিং কমিটির  মেয়াদোত্তীর্ণ  হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের  লোকজন নিয়ে এডহক কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি এখন ৬ থেকে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে নৈশপ্রহরী পদে নুতন করে নিয়োগ দেয়ার চিন্তা করছে বলে জানা গেছে। এসব অভিযোগ আকারে লিখে জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগ  করেছেন নৈশপ্রহরী আলম হোসেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা বন্ধ থাকায় তার সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। 

পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়াসহ অন্যান্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক মো. আইয়ুব আলী। তবে তিনি বলেছেন, বিধিমালা মেনেই  নৈশপ্রহরী আলম হোসেনকে সাময়িক  বরখাস্ত  করা হয়েছে।  

সংবাদ সারাদিন