|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ত্রাণের ১৫বস্তা চাল চুরি নিয়ে চলছে লঙ্কাকান্ড। গত ৩দিন আগে ৫০ কেজি ওজনের ১৫ বস্তা ত্রাণের চাল ডিলারের গুদাম ঘরের তালা ভেঙ্গে চুরি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এই চুরির জন্য দায়ী করা হয় ডিলার হারুণ মিয়ার ব্যবসায়িক পার্টনার কুদ্দুস মিয়াকে। এরা দু্ইজনই জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের মানুষ। তবে ত্রাণের এই চাল চুরির ঘটনার পর থেকে শুরু হয় নানানো নাটকীয় ঘটনা।
এলাকাবাসী জানায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ডিলার হারুন মিয়া ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার কুদ্দুস মিয়া মিলে জামতলা বাজারে একটি গুদামঘরে সরকারি ত্রাণের চাল মজুত রাখে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের গুদাম ঘরের তালা ভেঙ্গে ১৫বস্তা চাল চুরি হয় বলে এলাকাবাসীকে জানায় ডিলার হারুন মিয়া। এই চুরির জন্য ডিলার হারুন মিয়া তার ব্যবসায়িক পার্টনার কুদ্দুস মিয়াকে দায়ী করে। পরে কুদ্দুস মিয়ার আত্মীয় পার্শ্ববর্তী আমবাড়ি গ্রামের আবু তাহের ও লাল মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাদাঘাট ফাঁড়ি ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা চাল উদ্ধার করে।
এলাকাবাসী জানতে পারায় বিপদের পড়ে হারুণ ও কুদ্দুস মিয়া। পরে ত্রাণের চাল চুরি হওয়ার নাটক সাজায়। এঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকে পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাপাক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে ডিলার হারুন মিয়া তার ব্যবসায়িক পার্টনার কুদ্দুস মিয়াকে ত্রাণের ১৫ বস্তা চাল চুরির ঘটনার জন্য দায়ী করে থানায় মামলা করবে বলে এলাকাবাসীকে জানায়। কিন্ত ৩দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি হারুন মিয়া। বরং নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ২২ বস্তা চালের বিনিময়ে গোপনে এই ঘটনাটি সমাধান করার নামে ধামাপাচা দেওয়া হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।