গাছের ডালে লেগেছে গুটি আমের হল্লা

তিন ফসলি জমির মাঠ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড় ও রাস্তার ধারে প্রকৃতিতে শোভা পাচ্ছে মৌ মৌ গন্ধে ভরা আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের প্রতিটি ডালে ডালে মুকুলে ছেঁয়ে গেছে। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত করা ঘ্রাণ।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ধামইরহাট (নওগাঁ) ||

ঋতুরাজ বসন্তে চারদিকে ফুটেছে লাল, নীল, হলুদ নানান রঙের ফুল। বসন্ত মানেই গাছে গাছে ফুল আর রসে ভরা ফলের আগমনী বার্তা। গাছভর্তি আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভ্রমরের নাচানাচিতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে প্রকৃতি।

সম্প্রতি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট বড়ো নানান জাতের আমের বাগান। শীতের শেষে এসব গাছের ডালে ডালে ভরপুর হয়ে জেগে উঠেছে আমের মুকুল। প্রকৃতিতে আমের মুকুলে জেগে উঠেছে গুটি গুটি আম। গাছ ভরা মুকুলের ভেতরে জেগে ওঠা গুটি গুটি আম দেখে এ বছর ভালো ফলনের আশায় বুক বাঁধছেন এ অঞ্চলের আমচাষীরা।

উপজেলায় দিন দিনই বাড়ছে হরেক রকমের সুস্বাদু জাতের আমের চাষ। এদের মধ্যে অন্যতম নাগফজলি, আম্রপালি, রুপালি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি ও ক্ষিরসাপাতি জাতের আম।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিন ফসলি জমির মাঠ থেকে শুরু করে বাড়ির আঙ্গিনা, পুকুর পাড় ও রাস্তার ধারে প্রকৃতিতে শোভা পাচ্ছে মৌ মৌ গন্ধে ভরা আমের মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছের প্রতিটি ডালে ডালে মুকুলে ছেঁয়ে গেছে। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত করা ঘ্রাণ।

তবে আমের ফলন নির্ভর করছে অনেকটা আবহাওয়ার উপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষী ও বাগান মালিকরা।

স্থানীয় বাগান মালিক মোফাজ্জল হক সরকার বলেন, আমার প্রায় পনেরো বিঘা এলাকা জুড়ে রয়েছে আম ও লিচুর বাগান। আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতিটি গাছে এবার ভালো মুকুল ধরেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালো ফলন পাবো।

এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলায় ছোট-রড় প্রায় একশ থেকে একশ দশটি আমের বাগান রয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এখন পর্যন্ত আমের মুকুলে কোন ধরনের পোকা বা পচন ধরেনি। এ উপজেলায় সব চাইতে বেশি আমের চাষ হয় বারিফোর, আম্রপালি, গৌরমতি, নাগ ফজলি জাতের। এছাড়াও বারোমাসিসহ অন্যান্য জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবছর আমাদের আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৭৫ হেক্টর।

সংবাদ সারাদিন