কচুরিপানার দাপটে নাঙ্গলকোটের দুই ইউনিয়নে ক্ষতিতে ধানচাষ

উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম এসব সমস্যা সম্পর্কে বলেন, কচুরিপানা সরাতে আমরা কোনো অর্থ বরাদ্দ পাইনা। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা ||

জেলার নাঙ্গলকোটের নিম্নাঞ্চল বক্সগঞ্জ ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমিতে কচুরিপানা থাকায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ করতে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। এতে উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কচুরিপানাগুলো সরিয়ে জমিগুলো আবাদযোগ্য করে দেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকরা।

কৃষকরা বলছেন, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম, মদনপুর, আলিয়ারা ও সাতবাড়িয়ার ইউনিয়নের নাইয়ারা, ও তপোবনের বিস্তীর্ণ কৃষি জমিতে বন্যা এবং পানির স্রোতে প্রচুর পরিমানে কচুরিপানা জড়ো হয়েছে। এসব কচুরিপানা সরিয়ে জমিকে চাষযোগ্য করা অনেকটাই কঠিণ ও ব্যয়সাধ্য হয়ে পড়েছে।

তপোবন গ্রামের কৃষক আফছার উদ্দিন ও অষ্টগ্রামের জসিম উদ্দিন বলেন, এক শতক জমির কচুরিপানা সরাতে এক হাজার টাকারও বেশি খরচ হয়। তা ছাড়া জমিতে চারা রোপণ, কীটনাশক, সার, বীজ ও আগাছা পরিষ্কার খরচসহ অন্য খরচতো রয়েছেই। তাই অনেক কৃষক জমিনে ধান না লাগিয়ে অনাবাদিই রেখে দিয়েছেন।

তারা জানান, সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে কৃষি জমি থেকে কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করলে তারা আবাদ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সার্বিক সহযোগিতাও চাইছেন তারা।

এছাড়া উপজেলার বিভিন্নস্থানে সেচ সুবিধার অভাবেও অনেক কৃষক জমিনে বোরো ধান আবাদ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।  কৃষকরা বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের জন্য আবেদন করেও সংযোগ না পাওয়ায় সেচ সুবিধার অভাবে তারা জমিনে ধান লাগাতে পারেননি। 

উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম এসব সমস্যা সম্পর্কে বলেন, কচুরিপানা সরাতে আমরা কোনো অর্থ বরাদ্দ পাইনা। তাই এ ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। 

সংবাদ সারাদিন