|| মুহিবুল ইসলাম ||
করোনাকালে দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে সবচেয়ে বেশী সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে মালিকদের প্রণোদনা দেয়াসহ অনান্য সকল কিছু স্বাভাবিক রাখা হলেও শিক্ষায় নেই কোন সহায়তা উদ্যোগ। উপরন্তু একেবারে বন্ধই রাখা হয়েছে দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থির পড়ালেখা। সরকারি আমলারা মনে করছেন এই তারাই দেশ পরিচালনা করবেন। ভবিষ্যতে কেউ তাদের স্থানে বসবে না।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/05/186541806_230080351854510_5998015372458791626_n.jpg?resize=300%2C423&ssl=1)
যেখানে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের গবেষণা করার কথা থিসিস নিয়ে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগানের আম পাহারা দিচ্ছেন এবং ৩০ টাকা কেজিতে আম বিক্রি করছেন। তাই সেই দায়িত্বরত কিছু শিক্ষক চাইবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে গ্রীষ্মকালীন আম খেতে। এই যদি শিক্ষকদের নৈতিক অবস্থার অবনতি হয় সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পারিবারিক শিক্ষা নিয়ে কথা বলাটা একদম স্বাভাবিক।
টানা ১৪ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ তাদের বেতন পাচ্ছেন, শিক্ষক তার নৈতিক অবস্থানে নেই বলে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব এখন গলার মাঝে মাছের কাটা আটকানোর মত, না পারছে এই ছাত্রত্ব নামক বোঝা গিলতে না পারছে ফেলতে, যদিও চলছে ইউজিসি নামক সার্কাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অন-লাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলছে, এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ছাত্রদের মতামত নিয়েছিলো, মতমত নেওয়ার আগে শিক্ষক অনলাইন পরীক্ষা অসুবিধা গুলো বলেন, অনলাইনে পরীক্ষা হলে তোমার খাতা আন্তর্জাতিক মানে দেখা হবেনা, তোমাদের মূল্যায়ন হবে না, তোমরা প্রশ্ন ধারা বুঝবে না,ক্ষতি যখন হলো আরেকটু ধৈর্য্য ধরো সব খুললে সরাসরি পরীক্ষা হবে, তার এই সমস্যা গুলো শুনে অধিকাংশ শিক্ষার্থী না করে আর অল্প কিছু শিক্ষার্থীর যারা স্যারদের বলা একটু ক্ষতির মাত্রাটা বুঝতে পারে, তাদের চাওয়া পাওয়া একটাই যেভাবেই হোক তারা পরীক্ষা দিবে কিন্তু এই শিক্ষকরাই বছর শুরুতে বলেছিলেন বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা ও উন্নত বাংলাদেশ তৈরি করতে অবশ্যই তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে তাই অনলাইন ক্লাস নামক খোঁড়া শিক্ষা দিয়েই আমরা সেশনজট মুক্ত করবো, আর এই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যাবো এখন তারাই বলছে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষার সঠিক মূল্যায়ন করা যাবে না, আসলে দীর্ঘ বন্ধের মাধ্যমে তারাও চায় এই বন্ধের মধ্যে কোনো পরিক্ষা নিয়ে কোনো ঝামেলা না নিতে, পরিবার নিয়ে গ্রীষ্মের বন্ধ ও ঘরে বসে আম উপভোগ করবে, আজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা পদের লোভে আসলেই নৈতিক অবস্থান থেকে অনেক দূরে সরে এসেছে, শিক্ষকরা যদি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে থাকতো তাহলে গলার কাটা নামক সেশনজট থেকে মুক্তি পেতো শিক্ষার্থীরা।
মুহিবুল ইসলাম, শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।