|| আলতাফ পারভেজ ||
‘বামপন্থা বনাম ইসলাম’ একটা বেশ ‘দূরদর্শী’ সামাজিক গেমপ্ল্যান। এটা বেশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে সময়ে-সময়ে। চলতি ভাষায়, ‘পাবলিক বেশ খায় এটা।’ গেমপ্ল্যানের উদ্যোক্তারা এই অর্থে বেশ সফল।
এটা বৈশ্বিক প্রকল্প। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা জানেন, বিশ্বজুড়েই এর ব্যাপ্তি।
তবে মুসলমানপ্রধান দেশগুলোতে এই গেমপ্ল্যানে বিনিয়োগ বেশী মনে হতে পারে। কারণ সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে বামপন্থা ও ইসলামের মাঝে রয়েছে গভীর এবং বিপুল ঐক্যের জায়গা। বিরোধ তো নয়ই।
আলোচ্য গেমপ্ল্যানের জ্বালানি যোগাতে দুপক্ষেই যথেষ্ট কর্মী মিলে। তাঁদের হাতে ‘সমৃদ্ধ’ অনেক ‘আর্কাইভ’ আছে। অনেকে কাজ করে চলেন স্বতঃস্ফূর্তভাবেও। মূলত রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক অস্পষ্টতা থেকে অনেক সময় এরকম ‘স্বেচ্ছাসেবী’রা এগিয়ে আসেন। এই ‘গোলাগুলি’তে উৎসাহ দেয়ার জন্য জমজমাট গ্যালারিও তৈরি থাকে।
অনেক কারণে এরকম গেমপ্ল্যান জনসমাজে ব্যক্তি পর্যায়ে আবেদন তৈরি করে থাকতে পারে। তার মধ্যে আছে:
- ‘মুক্তি’র পথ সম্পর্কে অনুসন্ধানের অভাব;
- দেশ-সমাজ-বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝাপড়া ও বিশ্লেষণের অপর্যাপ্ততা;
- ব্যক্তির ভূমিকা ও কর্তব্য সম্পর্কে সঠিক পথ খুঁজে না পাওয়া; এবং
- বহুমত ও সংস্কৃতির মাঝে কীভাবে প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ সম্মিলিন ঘটিয়ে তা জনস্বার্থে কাজে লাগানো যায় সেরকম ইতিবাচক পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণার ঘাটতি।
এসব থেকে রেহাই দেয় তাৎক্ষণিক ‘বিষোদাগারের সংস্কৃতি’। ব্যক্তি পর্যায়ে এটা অনেকটা মাদকের মতো স্বস্তি দিতে পারে। তবে, অবশ্যই সেটা সাময়িক। কিন্তু এর যৌথ ফলাফল ভোগ করে গেমপ্ল্যানাররা। তাদের প্রাপ্তি দীর্ঘস্থায়ী।
বিশ্বজুড়ে বহু দেশে গত কয়েক দশকে উপরোক্ত গেমপ্ল্যানের সচরাচর এরকমই সূচনা এবং উপসংহার।