|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ||
সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর-এলজিইডি’র রাস্তা সংস্কার ও মেরামত কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ চলছে স্থানীয় পর্যায়ে। অভিযোগ উঠেছে কাজে অনিয়ম করে নির্ধারিত সময়ের আগেই তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করে ঠিকাদার কাজের বিলের জন্য আবেদন করেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পল্লী সড়ক মেরামত কর্মসূচি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ৬৩ লাখ ৬১ হাজার ৩২১ টাকা ব্যয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কুরি বাড়ি-মোস্তফা দোকান- উত্তর পাঁচপাড়া- চৌপল্লী (জিমি) পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও মেরামত প্রকল্প নেয়া হয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস ফাহাদ ট্রেডার্স গত বছরের ৮ই নভেম্বর কার্যাদেশ পায়।৩০শে জানুয়ারি কাজটি শেষ হওয়ার কথা। ফাহাদ ট্রেডার্স কাজটি পেলেও এটির বাস্তবায়ন করছে লক্ষ্মীপুরের ঠিকাদার মো: সেলিম। স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি রাস্তার পাশে গাইড ওয়াল দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় উত্তর পাঁচপাড়া গ্রামের মুরাদ গাজীর বাড়ির রাস্তা সংলগ্ন পুকুর ও মোতরা বাড়ি মসজিদ পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়নি। এ ছাড়া সংস্কার কাজে সিডিউল মোতাবেক কাজ না করায় রাস্তা পিচ ঢালাই উঠা শুরু হয়েছে। তদারকি না থাকায় এবং যথাযথ স্বচ্ছতা না থাকায় ঠিকাদার তড়িঘড়ি করেই রাস্তার কাজ শেষ করে বিল উত্তোলনের আবেদন করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী বেলাল হোসেন জানান, এ সড়কটি মেরামত ও সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি এলজিইডি লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছে। যে সব স্থানে গাইড ওয়াল ধরা হয়েছে সেই সব স্থানে তা দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবী করেন স্থানীয় লোকজন যে হারে অভিযোগ করেছে সব অভিযোগ সঠিক নয়। যথাযথ তদারকির মাধ্যমে কাজটি শেষ করা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম পাটোয়ারী জানান, সিডিউলে যে সকল স্থানে গাইডওয়াল দেওয়ার কথা হয়েছে যে সকল স্থানে দেওয়া হয়েছে। তবে রাস্তার পাশে যে সকল প্রতিষ্ঠান/ বাড়ির পুকুর রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের একটি নির্দেশনা রয়েছে ওই সকল স্থানে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যয়ে গাইড ওয়াল দিতে হবে।
রাস্তার কাজের অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, কাজের শুরুতে দেখতে পারেনি করোনায় আক্রান্ত ছিলাম। এখন যাবো অনিয়মে হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগের ব্যাপার ঠিকাদার মো: সেলিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিডিউল মোতাবেক কাজ করা হয়েছে। কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। কিছু লোক আমাদের বিরুদ্ধে ষড়ষন্ত্র চালাচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।