|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বেনাপোল ||
ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাবাসশেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৭জন নারী। রোববার ২১শে ডিসেম্বর ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বাংলাদেশি ১৭ নারী কে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এরা দুই বছর ভারতে জেলে ছিল বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে।
এরা হলেন, বাগেরহাট জেলার আব্দুর রশিদের মেয়ে মরিয়ম খাতুন, মুজিবুর রহমানের মেয়ে তানিয়া খাতুন, যশোর জেলার আব্দুল লতিফের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, কাশেম আলী খার মেয়ে আফরোজা খাতুন, মুক্ত ফরিকের মেয়ে সনিয়া বেগম, নড়াইল জেলার শওকত শেখের মেয়ে খাদিজা খাতুন, পারভেজ মোল্যার মেয়ে পলি খাতুন, তরফু মোল্যার মেয়ে বিউটি খাতুন, তোতা মোল্যার মেয়ে রুনা বেগম, বখতিয়ার রহমানের মেয়ে রুমানা খাতুন, সালমন মোল্যার মেয়ে সেফালি বেগম, আমির আলীর মেয়ে তহমিনা খাতুন, চাঁদপুর জেলার সফিক মোল্যার মেয়ে রুমা বেগম, চুয়াডাঙ্গা জেলার মহিন আলীর মেয়ে রহিমা খাতুন, পটুয়াখালী জেলার নাসির সিকদারের মেয়ে নাসরিন বেগম, সুনামগঞ্জ জেলার মোকাররম আলীর মেয়ে শিল্পী বেগম, খুলনার ছলেমান হোসাইনের মেয়ে আসমা খাতুন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, এরা পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত পথে ভারতে যান। সেখানে পুনে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সময় ভারতের পুলিশ এদের আটক করে। সাজার মেয়াদশেষে রেসকিউ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা এদেরকে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। এরা সেখানে ২ বছর থাকার পর দেশে এসেছে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, ভারত থেকে ফেরত আসা ১৭ নারী দালালদের খপ্পরে পড়ে ভাল কাজের আসায় ভারতে যায় অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। এরপর তারা সেদেশের পুলিশের হাতে আটক হয়। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে আজ তারা দেশে ফিরে এলেন। থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে এদের জাষ্টিস কেয়ার ও যশোর রাইটস নামে দুটি এনজিও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
যশোর রাইটসের এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর আব্দুল মুহিত জানান, বেনাপোল পোর্ট থানার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে যশোর নেওয়া হবে। পরে সকলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।