|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) ||
অরক্ষিত হয়ে পড়েছে সাবমেরিন কেবল লাইনের কুয়াকাটা অংশ। মাঝেমধ্যেই নানা কারনে ক্ষতিতে পড়ছে গুরুত্বপূর্ণ এই যোগাযোগ স্থাপনা। এবারে জোয়ারের পানির তোড়ে মাটি সরে যাওয়ায় কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র এলাকার জিরো পয়েন্ট থেকে অনেকটা এলাকার স্থাপনা দৃশ্যমান হয়ে পড়েছে। সৈকতে যেতে যে সড়কটি রয়েছে, তার ঠিক সামনে থেকেই লাইনটির অন্তত ১০ ফুট বের হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে এই অংশটুকু মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া না হলে লাইনটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার দুই দফায় সাগরের প্রবল জোয়ারের চাপে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে অন্তত ২৫ ফুট সাবমেরিন কেবল লাইনের পাইপ বের হয়ে যায়। তবে শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেই আর্টিকুলেটেট এই পাইপ (এপি) ঢেকে দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। রাতে জোয়ার আসার আগেই পুরোপুরি পাইপ ঢেকে দেওয়ার জন্য ৮-১০ জন শ্রমিক জোরেশোরে কাজ করে যাচ্ছেন।
যে পাইপটি বের হয়েছে, তা প্রায় চার ইঞ্চি পুরু। সাগরের তলদেশ দিয়ে ২৫ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ যে অপটিক্যাল ফাইবার লাইনটি এসেছে, তা কুয়াকাটায় এসে আমখোলাপাড়ায় অবস্থিত সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
কুয়াকাটা দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, বের হওয়া আর্টিকুলেটেট পাইপের নিচে জিও ব্যাগে বালু ভরে তার ওপরে সাড়ে তিন মিটারের মতো বালু মিশ্রিত সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হচ্ছে। এমনভাবে পাইপটি ঢেকে দেওয়া হচ্ছে, জোয়ারের চাপে আর পাইপটি বের হওয়ার আশঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, এই সমস্যার কারণে ইন্টারনেট সেবার ব্যাঘাত ঘটছে না। কিংবা ইন্টারনেটের গতি কমে যায়নি বা যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
এরআগেও কেবল সঞ্চালন লাইনের পাশের ব্যক্তিগত জমিতে এক্সকেভেটর দিয়ে মাটি কাটার সময়ে কাটা পড়ে এই স্থাপনা। স্থানীয়রা বলছেন, মাটির নিচ দিয়ে যাওয়ার কারণে অনেক সময়েই আশপাশের ভুমি উন্নয়ন কাজের সময়ে ক্ষতিতে পড়ছে রাষ্ট্রের ইন্টারনেট যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনা। তারা বলছেন, দ্রুত এই সঞ্চালন লাইন এলাকার সুনির্দিস্ট চিহ্নিতকরণ করা না হলে মাঝে মধ্যেই ক্ষতিতে পড়তে পারে এটি।