জামিনে ছাড়া পেয়েই প্রতিপক্ষের মেয়েকে ধর্ষণ বাড়িঘর ভাংচুর

হাসমতসহ অন্য আসামিরা উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে গত ৩রা মার্চ বুধবার লাল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে। এছাড়াও নিহত লাল মিয়ার মেয়েকে ধর্ষণও করে তারা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাবিলপুর চরের আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া হত্যা মামলার আসামির বিরুদ্ধে নিহতের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্ছে অভিযুক্ত হাসমতসহ অন্য আসামীরা উচ্চ  আদলত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে নিহত লাল মিয়ার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে নির্যাতিতার শ্বশুর আবুল বাশার চৌধুরী হাসমতসহ ৬ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার থানায় মামলা করেছেন।

নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ই ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়াকে জমি বিরোধের জেরে ছুরি মেরে খুন করা হয়। খুনের অভিযোগে হাসমত দেওয়ানসহ ২৬ জনকে আসামি করে মামলা করে তার পরিবার।

হাসমতসহ অন্য আসামিরা উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে গত ৩রা মার্চ বুধবার লাল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে। এছাড়াও নিহত লাল মিয়ার মেয়েকে ধর্ষণও করে তারা।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে জমিতে ভুট্টার পাতা ছিঁড়তে গেলে লাল মিয়ার মেয়েকে আসামি হাসমত দেওয়ানের বোন চায়না বেগমসহ কয়েকজন যুবক মুখ বেঁধে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি ভুট্টা ক্ষেতে নির্যাতিতাকে ফেলে রেখে যায়।

৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করার পর ফুলছড়ি থানা পুলিশ নির্যাতিতাকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরান হোসাইন বলেন, নির্যাতিতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ বলেন, তারা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ দিলে ফুলছড়ি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।

সংবাদ সারাদিন