ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে স্থবির শাহজাদপুরের জনজীবন

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গত দু‘দিনে সুর্য্যরে দেখা মেলেনি। ফলে উপজেলা শহর ও গ্রাম-গঞ্জের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায়  রাস্তাঘাটে

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) ||

ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে গত দু‘দিনে সুর্য্যরে দেখা মেলেনি। ফলে উপজেলা শহর ও গ্রাম-গঞ্জের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায়  রাস্তাঘাটে যানবহণ ও মানুষ চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। হাতে কাজ না থাকায় অভাবি মানুষের ঘরে খাদ্যাভাব ও শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্ররা চরম কষ্টে জীবন যাপন করছে।

গত মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দিনভর মৃদ কুয়াশা ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে এর ঘনত্ব আরও বেড়ে যায়। রাত ১০টার পর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো এলাকা। ফলে শাহজাদপুর উপজেলা শহরের বিপণী-বিতান, বাস স্টেশন, অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলো মূহুর্তই জনশূন্য হয়ে পড়ে।

বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার ভোর বেলাতেই সারা এলাকায় ঘন কুয়াশা ও শীত আরো তীব্র হয়। ফলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় শহর ও গ্রাম। ফুটপাতের সবজি, মাছ, ফলমূল ও শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা বেচা-কেনা না থাকায় তারা দোকান গুটিয়ে বাড়ি চলে যায়। রিকশাচালক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরাও ভাড়ার আশায় আর বসে থাকছেন না কোন স্থানে।

শাহজাদপুর শহরের রিকশাচালক হাবিব বলেন, গত রাতেও রিকশা চালানো গেছে ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত রিকশা চালানো সম্ভব হয়নি। বেলা ১২টার দিকে মাত্র একজন যাত্রী পরিবহণ করেছি।

সবজি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ ও মালেক বলেন, কুয়াশার কারণে মানুষজন বের হচ্ছে না। এ কারণে অর্ধেক সবজিও বেঁচা হয়নি। শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দু‘দিন ধরে সুর্য্যরে দেখা নেই। ফলে আমাদের গ্রামে তীব্র শীত পড়েছে। অভাবি মানুষ ও শ্রমজীবিরা মাঠে-ঘাটে কাজে যেতে পারছেনা। শীতবস্ত্রের অভাবে হতদরিদ্র মানুষজন খরকুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহায়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন