নবজাতক সন্তান বিক্রি করে স্ত্রীকে ক্লিনিক থেকে বাড়ি নিলেন শাজাহান

অতিদরিদ্র শাজাহান মিয়া তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে গাইবান্ধা মাতৃসদনে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে জানানো হয় তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান উল্টো অবস্থানে রয়েছে। এ জন্য সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

গাইবান্ধায় ক্লিনিকের বিল মেটাতে নবজাতক সন্তানকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন এক অসহায় পিতা। সন্তানকে বিক্রির পর প্রাপ্ত টাকা দিয়ে বিল পরিশোধ করে ক্লিনিক থেকে স্ত্রী আমেনা বেগমকে বাড়ি নিয়ে গেছেন তিনি।

অসহায় পিতা শাজাহান মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের শোলাগাড়ী গ্রামে। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্তান বিক্রির কথা স্বীকার করলেও কার কাছে করেছেন তা বলতে রাজি হননি শাজাহান।

অতিদরিদ্র শাজাহান মিয়া তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে গাইবান্ধা মাতৃসদনে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে জানানো হয় তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান  উল্টো অবস্থানে রয়েছে। এ জন্য সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে।

গত ১৩ই সেপ্টেম্বর রোববার আমেনা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে শাজাহান মিয়া স্ত্রীকে গাইবান্ধা শহরের যমুনা ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

রোববার থেকে ক্লিনিকে অবস্থান ও সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মায়ের অবস্থার উন্নতি হলে ১৭ই  সেপ্টেম্বর বৃহষ্পতিবার তার রিলিজ অর্ডার হয়। এ সময় বিল করা হয় ১৬ হাজার টাকা। শাজাহান মিয়া জানান এতো টাকা তার কাছে নেই। বাধ্য হয়ে একজনের সহযোগিতায় শিশুটি সাদুল্লাপুর উপজেলার জনৈক ব্যক্তির কাছে ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে শাজাহান ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করেছেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি।

যমুনা ক্লিনিক সুত্রে জানা যায়, রিলিজের সময় শাজাহান ক্লিনিকে জমা দিয়েছেন ৯ হাজার টাকা। নবজাতক বিক্রয়ের ঘটনা ক্লিনিকের অভ্যন্তরে হয়নি। যদি হয়ে থাকে তাহলে বাইরে হয়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন