কুড়িগ্রামে হত্যামামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডে আদালত ভাঙচুর

রায় ঘোষনার পরপরই আসামীরা কাঠগড়া ভাংচুর করে ও বিচারককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে কারাগারে নিয়ে যায়।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যামামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় ৭ আসামীর মধ্যে একজন খালাস ও মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত এক আসামী পালিয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার ১৬ই জানুয়ারি দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান এ রায় দেন। রায় ঘোষনার পরপরই আসামীরা কাঠগড়া ভাংচুর করে ও বিচারককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পুলিশ তাদের নিবৃত্ত করে কারাগারে নিয়ে যায়।

মামলায় ৭ আসামীর মধ্যে মমতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মজনু, আমির হামজা, জাকির হোসেন, জালাল গাজি, হাসমত আলীকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে জালাল গাজি পালিয়ে রয়েছে। আরেক আসামী নাইনুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন এবং আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলুসহ ৫ জন আইনজীবি।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ই জানুয়ারি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামে সুলতান মিয়ার বাড়ীতে একদল মুখোশধারী গভীর রাতে ঢুকে সুলতান মন্ডল তাঁর নাতনী রোমানা, আনিকা ও স্ত্রী হাজেরাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহত সুলতানের ছেলে হাফিজুর রহমান ভুরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন।

আরো জানা যায়, আসামী মমতাজ উদ্দিনের সাথে ছোট ভাই নিহত সুলতান আহমেদের বিরোধ ছিল। মমতাজ উদ্দিন সুলতান আহমেদকে হত্যার জন্য দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ৫ লাখ টাকা ও একবিঘা জমি দেয়ার চুক্তিতে ভাড়া করে।

নিহতদের স্বজন রফিক আহমেদ বলেন এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা চাই দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক।

এ প্রসঙ্গে পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন বলেন, চার্জশিট দাখিলের দ্রুততম সময়ে এ রায় ঘোষণা করা হল। এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায় ঘোষণার পর দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের কাঠগড়া ভাংচুরের ঘটনার মত ঔদ্ধত্যপুর্ণ আচরণই প্রমাণ করে তারা কতটা দুর্ধর্ষ।

 

সংবাদ সারাদিন