আবারও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ চলন্তবাসে

তবে বাসটি টঙ্গী না গিয়ে বাসের অন্যান্য যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী ও তার সঙ্গীকে নিয়ে ফের নবীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় পথে বাসের জানালা দরজা বন্ধ ও ভুক্তভোগী সঙ্গীকে জিম্মি করে পালাক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সাভার ||


সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে বাস চালক, হেলপারসহ ছয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার ২৯শে মে সকালে আশুলিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত ) জিয়াউল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আশুলিয়া-সিএন্ডবি বাইপাস সড়কের গরুর হাটের কাছে ধর্ষিতার ডাক চিৎকারে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ছয় ব্যক্তিকে আটক করে ।

আটকরা হলেন -কুষ্টিয়ার তারাগুনা গ্রামের দৌলতপুর থানার মৃত আতিয়ারের ছেলে সাজু (২০), বগুড়ার খাটিয়ামারী গ্রামের ধুনট থানার  সুলতান মিয়ার ছেলের  সুমন (২৪) ও একই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সোহাগ (২৫), নারায়ণগঞ্জের ধামঘর গ্রামের বন্দর থানার জহুর উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার (২৪), বগুড়ার জিয়ানগর গ্রামের দুপচাচিয়া থানার সামছুলের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) ও তুরাগ থানার গুলবাগের নজরুল ইসলামের ছেলে আরিয়ান (১৮ ) ।

এই ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় দেয়া অভিযোগে ভুক্তভোগী তরুণীর জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে বোনকে মোবাইল ফোন দেওয়ার জন্য মানিকগঞ্জে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি। এরপের মানিকগঞ্জ থেকে রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন। এসময় তিনি বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকলে তার পূর্ব পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে দেখা ও কথা হয় তার । তাদের মধ্যে একজনকে টঙ্গী পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার জন্য সঙ্গে নেন ওই তরুণী। এসময় নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে নিউ গ্রাম বাংলা মিনিবাস (ঢাকা মেন্ট্রো-জ-১১-১৬৪৮) যোগে টঙ্গীর ষ্টেশন রোড়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তবে বাসটি টঙ্গী না গিয়ে বাসের অন্যান্য যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী ও তার সঙ্গীকে নিয়ে ফের নবীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় পথে বাসের জানালা দরজা বন্ধ ও ভুক্তভোগী সঙ্গীকে  জিম্মি করে পালাক্রমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী ও তার সঙ্গী ব্যক্তির ডাক-চিৎকারে টহল পুলিশ বাসটি থামিয়ে ওই ছয় ব্যক্তিকে আটক করে।

এবিষয়ে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত ) জিয়াউল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে বাস চালক ও হেলপার এবং ধর্ষণে অভিযুক্ত ছয় ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে । সেই সাথে ভুক্তভোগী তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা ।

সংবাদ সারাদিন