আইনজীবীকে লকআপে দাঁড় করিয়ে রাখায় বিচারক ছুটিতে

আইনজীবীকে আসামীর লকআপে দাঁড় করিয়ে রাখায় বিক্ষোভের মুখে ছুটিতে যেতে হলো ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরকে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, নিম্ন আদালত ||

আইনজীবীকে আসামীর লকআপে দাঁড় করিয়ে রাখায় বিক্ষোভের মুখে ছুটিতে যেতে হলো ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরকে।

ভুক্তভোগি আইনজীবী রুবেল আহমেদ ভুঞা বলেন, ‘মঙ্গলবার তিনি ওই বিচারকের আদালতে মামলা পরিচালনা করতে যান। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন বলে জানান। কিন্তু ১১টার দিকেও বিচারক না ওঠায় বিষয়টি পেশকারের কাছে জানতে চান আইনজীবী রুবেল ভু্ঞা। পরে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক ওই আইনজীবীর মামলা না শুনে পরে আসতে বলেন। বিচারকের কথামতো পরে গেলে তিনি আইনজীবীকে দুই ঘন্টা লকআপে আটকে রাখেন এবং সনদ বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দেন। একইসঙ্গে অন্য ম্যাজিস্ট্রেটদেরকেও ঐ আইনজীবীর কোন মামলা পরিচালনা না করতে বলে দেবেন বলেও জানান।’ এসব অভিযোগ উল্লেখ করে এর সুষ্ঠু বিচার দাবিতে ঢাকা বারের কাছে লিখিত আবেদন করেন রুবেল ভুঞা। ।

এই ঘটনা জানতে পেরে বিচারকের অপসারন দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ঢাকা বারের সকল আইনজীবী। বিক্ষোভের মুখে বিচারককে দুইদিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ.এম. জুলফিকার হায়াত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বারের সহ-সাধারণ সম্পাদক সিকদকার মোহাম্মদ আখতার উজ্জামান হিমেল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সি এম এম এর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানান, ওই বিচারককে দুই দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই বিচারককে প্রত্যাহার করা হবে মর্মে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। আপাতত তাকে ছুটি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই আনুষ্ঠানিক আদেশ আসবে।

এই আশ্বাসের পর আইনজীবীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেন৷ এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিএমএম আদালতের বিচার কাজ হয়। এখন বিচারকাজ স্বাভাবিকভাবে চলছে।

সংবাদ সারাদিন