জামালগঞ্জে অটোরিক্সার দখলে সড়ক

বিশাল সরু রাস্তা পার হওয়ার কোন উপায় নেই। নেই কোন নিয়মনীতি। প্রয়োজনে সামনে-পেছনে এগুনো কিংবা ডান-বামে যাওয়ার কোন উপায় নেই। প্রতিদিন উপজেলা

|| সারাবেলা প্রতিনিধি , জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) ||

বিশাল সরু রাস্তা পার হওয়ার কোন উপায় নেই। নেই কোন নিয়মনীতি। প্রয়োজনে সামনে-পেছনে এগুনো কিংবা ডান-বামে যাওয়ার কোন উপায় নেই। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন সড়কে যানজটের এ অবস্থা দেখলে মনে হয় দেখার কেউ নেই। অনিয়ন্ত্রিত ব্যটারিচালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক যেন উপজেলাবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে যেতে স্বল্প ভাড়ায় দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার কারণে উপজেলাবাসী ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ও ইজিবাইক ব্যবহার করে।কিন্তু এসব বাহনের চালক সড়কে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করায় উপজেলা সদরসহ সাচনা বাজারে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হয় সীমাহীন যানজট। প্রতিদিনের যানজটের দুর্ভোগ এখন উপজেলাবাসীর নিত্যসঙ্গী।

উপজেলা সদর থেকে মন্নানঘাট-গজারিয়া, নোয়াগাঁও, লক্ষ্মীপুর বাজার, লালবাজার ও নদীর ওপর পারস্থ সাচনা বাজার থেকে দুর্লভপুর, কালীপুর, বেহেলী বাজার, নিয়ামতপুর পর্যন্ত প্রতিনিয়তই চলছে এসব যানবাহন। এসব রাস্তা দখল করে যাত্রীদের উঠানামার দৃশ্য দেখা যায়। এতে জনগণের চলাচলে মারাত্বক বিঘ্ন ঘটছে। যাত্রী উঠানামার সময় রাস্তার দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা চালকদের সাথে অনেক সময় পথচারীদের বাক-বিতণ্ডা লেগেই থাকে। পাশাপাশি ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।

উপজেলার যাত্রীসাধারণ যেন তিন চাকার গাড়ির অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং অদক্ষ চালকদের কাছে অনেকটা জিম্মি। যেকোন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করলে চালক কর্তৃক অপমানিত হতে হয় অনেককে। অনেকের অভিযোগ তারা কোন কিছুর নিয়মনীতি না মেনে যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করিয়ে থাকে। এতে পেছন থেকে দ্রুতগতির গাড়ি এলে হঠাৎ ব্রেক করে প্রায়ই দুর্ঘনার শিকার হন পথচারীরা।

ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চালক মো. ইউনুস মিয়া বলেন, তারা দিন শেষে মালিককে জমার টাকা দিতে হয়। করোনায় যাত্রী কমে গেছে। তাই রাস্তায় লোক ডেকে ডেকে তুলতে হয়। দিন দিন অটোরিক্সা বেড়েই চলছে। কোন কোন সময় দেখা যায়, যাত্রী থেকে অটোরিক্সা বেশি।

অটোরিক্সা যাত্রী আবুল কালাম বলেন, অটোরিক্সার কোন হিসাব নেই। যেখানে সেখানে থেকেই দুই তিনজন যাত্রী নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে। মনে হচ্ছে যাত্রীর চেয়ে অটোরিক্সার সংখ্যা বেশি। এইসব অটোরিক্সা চালকদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। গাড়ি চালানোর কোন দক্ষতাও নেই। প্রায়ই অটোরিক্সা দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে তারা আর্থিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, অটোরিক্সা থাকার জন্য জামালগঞ্জে স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা স্ট্যান্ডে না থেকে সবাই রাস্তায় নেমে যানজটের সৃষ্টি করে। উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যদি নিয়ম ভঙ্গ করে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদ সারাদিন