|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||
সুনামগঞ্জে অন্তঃসত্বা স্ত্রী ও এক কিশোর হত্যা মামলায় ঘাতক স্বামীসহ হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ২৩শে জুলাই সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে হোটেল মালিক ও কর্মচারীকে কারাঘারে পাঠানোসহ ঘাতক স্বামীকে ৩দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলো, জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে হোটেল মালিক আশ্রব আলী (৪৫), তার কর্মচারী একই উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দোয়ারাগাঁও গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আমজাদ আলী (২২) ও ঘাতক স্বামী শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত রমেশ দাসের ছেলে রনধির দাস (৪৫)।
থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গত বুধবার (২১ জুলাই) সকালে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউড়া বাজারে অবস্থিত আশ্রব আলীর হোটেলের রান্নাঘর থেকে কিশোর মামুন মিয়া (১৪) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত কিশোর মামুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আগুনে ছ্যাকা দেওয়ার দাগ পাওয়া যায়। এঘটনার প্রেক্ষিতে ওই কিশোরের মা রুপিয়া বেগম বাদী হয়ে হোটেল মালিক আশ্রব আলী ও কর্মচারী আমজাদ আলীগংদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় গতকাল শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকেলে হোটেল মালিক আশ্রব আলী ও তার কর্মচারী আমজাদ আলীকে গ্রেফতার করে। পরে সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ আদালতে দুজনকে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাঘারে পাঠানো হয়। মৃত কিশোর মামুন মিয়া উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গোজাউড়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে। তারা বালিউড়া বাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো।
অপরদিকে জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রনধির দাস পারিবারিক কলহের জের ধরে অন্তঃসত্বা দ্বিতীয় স্ত্রী মানসি সরকার (৩০) কে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। গত সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে পাশের হবিবপুর গ্রামের হাওর থেকে গলায় ইট ও পাথরের বস্তা বাঁধা অধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় জড়িত সন্দেহে স্বামী রনধিরকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দ্বিতীয় স্ত্রী মানসিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করে ৩দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। মৃত মানসি সরকার সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালাইবাক গ্রামের সমীর সরকারের মেয়ে। ঘাতক রনধির দাস পেশায় একজন টেইলাস। পারিবারিক কলহের কারণে ১ম স্ত্রীকে নিজের বাড়ি রেখে দ্বিতীয় স্ত্রী মানসি সরকারকে নিয়ে পাশের দাড়াইন বাজারে বাসা ভাড়া করে থাকতেন ও ব্যবসা করতেন রনধির দাস।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর ও শাল্লা থানার ওসি নুর আলম সাংবাদিকদের পৃথক হত্যাকান্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।