সুনামগঞ্জে আদালতে জবানবন্দী দিলেন ফার্ণিচার কর্মচারীর খুনি

শুক্রবার ২৬শে মার্চ বিকেলে আদালতের কাছে জবানবন্দি দেয়ার পর ঘাতক সায়মনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ২৫শে মার্চ মধ্য রাতে বড়কাপন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘাতক সায়মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||

সুনামগঞ্জে ফার্ণিচার কর্মচারীকে গলাগেটে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়া ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ঘাতকের নাম- সেলিম আহমদ সায়মন (২৪)। সে জেলার ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। আর মৃত কর্মচারীর নাম- ইমন আহমদ রাসেল (১৪)। সে জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার ছেলে। শুক্রবার ২৬শে মার্চ বিকেলে আদালতের কাছে জবানবন্দি দেয়ার পর ঘাতক সায়মনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ২৫শে মার্চ মধ্য রাতে বড়কাপন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘাতক সায়মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার মুক্তাখাই গ্রামের আজাদ মিয়ার ফার্ণিচারের কারখানার কর্মচারী ছিলেন শিশু ইমন আহমদ রাসেল। একারণে রাতে ওই কারখানাতেই থাকতে হতো তাকে। তার সাথে থাকতো সহযোগী কর্মচারী সেলিম আহমদ সায়মন। প্রতিদিনের মতে গত মঙ্গলবার ২৩শে মার্চ রাতে দুজন খাওয়া দাওয়া শেষে করে কারাখানায় ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু পরদিন বুধবার ২৪শে মার্চ সকাল ১১টা পর্যন্ত কারখানা বন্ধ দেখে মালিক আজাদ মিয়া অনেকক্ষন ডাকাডাকি করে কোনা সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢোকেন।

খাটের বিছানার মাঝে মোড়ানো অবস্থায় শিশু ইমন আহমদের গলাকাটা দেহ দেখতে পেয়ে  থানায় খবর দেন মালিক আজাদ মিয়া। পরে পুলিশ এসে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

ঘটনার পর সহযোগী কর্মচারী সায়মন পালিয়ে যায়। বুধবার রাতেই নিহত ইমনের মামা নাসির মিয়া বাদী হয়ে ঘাতক সায়মনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন।

দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শিশু ইমনের ঘাতক সায়মনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে। বাটাইল দিয়ে ইমনের গলার শ্বাসনালী কেটে হত্যা করে সায়মন।

সংবাদ সারাদিন