মে মাস পর্যন্ত সবেতন ছুটি দাবি চা শ্রমিকদের শুক্রবার মানবন্ধন

||অনলাইন প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল (সিলেট)||
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ছুটির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠছে চা শ্রমিকরা। ছুটি না দিলে ১০ই এপ্রিল শুক্রবার থেকে দেশের সব চা বাগানে মানববন্ধন করবে তারা। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যালয়ে সভা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। ইউনিয়নের সভাপতি মাখন লাল কর্মকারের সভাপতিত্বে জরুরী সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী।
তিনি বলেন, ‘করোনা ঝুঁকি থেকে রক্ষায় অনতিবিলম্বে মজুরিসহ চা শ্রমিকদের ছুটি দিতে হবে। যদি এ দাবী না মানা হয় তাহলে ১০ই এপ্রিল শুক্রবার, ছুটির দাবিতে প্রত্যেক চা বাগানে কাজে যাওয়ার আগে ১০ জন শ্রমিক নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধনে অংশ নেবে।’
এছাড়া, ছুটির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন পাঠানো হবে বলে জানান চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা।এর আগে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে বেতন-মজুরী ও রেশন চালু রেখে দেশের সকল চা বাগান বন্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের অর্ধশতাধিক নাগরিক।
বিবৃতিতে বলা, এক দেশে দুই আইন চলছে। শুধু বাগান মালিকদের খুশি রাখতে এ ধরণের একতরফা বিধিনিষেধ সরকার চালু রেখেছে। তাতে করে আমরা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এদেশে সরকার মালিকদের জন্য কাজ করছে, অপরদিকে শ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রের সকল সেক্টরে রয়ে গেছে কেবলই শুভঙ্করের ফাঁকি। চা শিল্প বাংলাদেশের একটি লাভজনক খাত। প্রায় ৭ লাখ শ্রমিক নামমাত্র মজুরিতে বহু বছর ধরে চা শিল্পকে লাভখাত হিসেবে ধরে রেখেছে। অথচ তাদের ন্যূনতম নাগরিক সুবিধার কথা ভাবা হচ্ছে না। এই করোনার দিনেও এই শ্রমিকদের জীবন নিয়ে কেউ ভাবছে না। চা বাগানের শ্রমিকদের কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি অন্য অনেকের চাইতে বেশি।
এদিকে চা শ্রমিকদের সুরক্ষায় মে মাস পর্যন্ত সবেতনে ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন চা-বাগান ছাত্র ও যুব সংগঠনের নেতারা। ছুটির দাবিতে চা শ্রমিক সংগঠনের পর যৌথ বিবৃতিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী মে মাস পর্যন্ত টানা দুই মাসের সবেতন ছুটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে।#

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন