|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||
বাংলাদেশের হাওর অধ্যুষিত জেলা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জ। তাই এজেলার সড়কপথের বেহাল দশা যেনো সহজে কাটতে চায় না। সারাদেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে তখনও এই জেলার অনেক উপজেলা রয়েছে চরম অবহেলিত। সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগে একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সুনামগঞ্জ-বিশম্ভরপুর সড়ক। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের সুরমা নদীর আব্দুস জহুর সেতুর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত টোলঘর হতে বিশম্ভরপুর উপজেলার চালবন বাজারের তেমুখি পয়েন্ট পর্যন্ত ৬কিলোমিটার ও এই সড়কের শক্তিয়ারখলা এলাকার ১কিলোমিটার সড়কের খুবই বেহাল দশা। দীর্ঘদিন যাবত এই সড়কটি মেরামত না করার কারনে এসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লক্ষলক্ষ যাত্রীসাধারণসহ দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদেরকে প্রতিদিন পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দূর্ভোগ।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/01/1-Sunamgonj-Bi-Pur-Sorok-Pic-07.01.21-300x180.jpg?resize=1200%2C720&ssl=1)
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের সাথে বিশম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী ধর্মপাশা-মধ্যনগর ও জামালগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৮ লাখের বেশী মানুষ দেশ-বিদেশ থেকে আসা পর্যটকরা বিশম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে তাহিরপুর পর্যন্ত যাতায়াত করে থাকে। তবে বিশম্ভপুর ও তাহিরপুর উপজেলাবাসীর যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে এই সড়ক।জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে বেশির ভাগ অংশই সম্প্রতি মেরামত করা হয়ে গেছে। কিন্তু তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের শেষ অংশে অবস্থিত বিশম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা এলাকার অংশের অবস্থিত প্রায় ১কিলোমিটার ও চালবন হতে আব্দুস জহুর সেতুর টোলঘর পর্যন্ত প্রায় ৬কিলোমিটার সড়কের খুবই বেহাল দশা। কারণ দীর্ঘদিন যাবত এই ৭ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত না করার কারণে মালামাল পরিবহণকারী বিভিন্ন প্রকার ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড়বড় গর্ত। আর এই ঝুকিপূর্ন সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শহরসহ বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার ব্যবসায়ীরাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পর্যটকরা মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার, সিএনজি, লেগুনা, বাস ও ট্রাক নিয়ে চলাচল করছে। বর্তমানে এই ৭ কিলোমিটার ঝুঁকিপূণ সড়ক জনসাধারণের মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কারণ এই সড়ক পথে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ঝাঁকুনির কারণে সুস্থ মানুষ ও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। আর প্রায় সময়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। কিন্তু জনসাধারণের এই কষ্ঠ ও দূর্ভোগ দেখার মতো কেউ নেই।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/01/Akram-1-300x163.gif?resize=1200%2C652&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/01/Akram-1-300x163.gif?resize=1200%2C652&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/01/Akram-1-300x163.gif?resize=1200%2C652&ssl=1)
এব্যাপারে সুনামগঞ্জের সিএনজি চালক সুজন মিয়া, হামিদুর রহমান, সেলিম মিয়া, আলী হোসেনসহ আরো অনেকেই বলেন- জেলা শহর থেকে যাত্রী নিয়ে বিশম্ভরপুর ও তাহিরপুর যেতে সুরমা সেতুর টোলঘর হতে রাধানগর হয়ে চালবন পর্যন্ত খুবই কষ্ট হয়। কারণ রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে, গাড়ী নিয়ে চলাচল করা দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই দায় হয়ে পড়েছে। তারপরও জীবনের ঝুকি নিয়ে জীবন বাচাঁনোর তাগিদে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছি।
দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়নের শক্তিয়ারখলা, সিরাজপুর-বাঘগাঁও গ্রামের কামাল হোসেন, হুমায়ুন মিয়া, রফিকুল ইসলাম, জসিম মিয়া, রুবেল মিয়াসহ আরো অনেকে বলেন- এবারের বন্যায় শক্তিয়ারখলা এলাকায় অবস্থিত বিশম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের প্রায় ১কিলোমিটার রাস্তার এক পাশ ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে রাস্তার প্রস্থ ছোট হয়ে গেছে। যার ফলে দুটি সিএনজি এক সাথে আস-যাওয়া করতে বিরাট সমস্যা হয়। প্রায় সময়ই ঘটেছে দূর্ঘটনা। তাই শিগগিরিই জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন- সুনামগঞ্জ-বিশম্ভরপুর সড়কের ভাংগা অংশ মেরামত করার জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির সংস্কার কাজ শিগগিরই শুরু হবে।