বিশ্বম্ভরপুর থেকে কাওছার আলম
পৃথিবী আজ করোনা কাছে জিম্মি। চার দিকে আজ মৃত্যু মিছিল। বাংলাদেশেও করোনা প্রকোপ বাড়ছে। সংক্রমণ বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। চারপাশে কর্মজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এর সাথে সাথে হাওরে ধান কাটার সময় চলে আসছে। আমাদের ভাবনার সময় খুব কম। কারণ এই মহামারী পর আরেকটা মহামারী আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।। আর সেটা হলো খাদ্যে সংকট। মহামারী পর স্বাভাবিকভাবে খাদ্যে সংকট দেখা দেবে। তখন সরকার চাইলেও বাইরে থেকে খাদ্য আমদানি করতে পারবে না। দেশের মধ্য থেকেই খাদ্য যোগান দিতে হবে। আর বিশেষ করে হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ এই খাদ্যের সিংহভাগ যোগান দিতে পারে।
গত কিছু দিন যাবত সুনামগঞ্জ হাওর অধ্যুষিত বিশ্বম্ভরপুরের হাওর গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, এখান ২৮ জাতের অগ্রিম ধানসহ কিছু জাতের ধান পেকে গেছে। কিন্তু করোনার এই পরিস্থিতিতে ধান কাটার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বম্ভরপুরের শনি হাওর, দেখার হাওরে হাজার হাজার একর জমির ধান পেকে গেছে। কিন্তু কাটার মানুষ নেই।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ানের সাতঘাও গ্রামের কৃষক শফিক মিয়া বলেন, আমার ছয় একর জমি। কিন্তু শ্রমিকের অভাবে কাটতে পারতেছি না। এখন নিজে ও এক ছেলেকে নিয়ে কাটতেছি। এমন আরো কৃষকের সাথে কথা বলে এই রকম কথা জানা গেছে।
বিশ্বম্ভরপুর কৃষি অফিসের যোগাযোগ করলে দায়িত্বপাপ্ত কৃষি অফিসার ইন্দ্রজিত বলেন, সারা দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আশা করি আগামি কিছু দিনে মধ্যে আমরা এই সমস্যা কাটিয়ে উঠব।#
![](https://i0.wp.com/sangbadsaradin.net/wp-content/uploads/2021/08/download-1-2.jpg?fit=300%2C156&ssl=1)