|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রংপুর ||
রংপুরের স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে কাঁচা মরিচের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চারগুণ বেড়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ দুশত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চালের দাম, মুরগিসহ নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে। এদিকে করোনার অজুহাতে ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম। সবধরণের চালের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। সরকারীভাবে চালের বাজার মরিটরিং করে জরিমানা করা এবং দু-একটি রাইস মিল বন্ধ করে দিতে পারলে সব স্বাভাবিক হয়ে যেত। স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের এতো কষ্ট হতো না।
তবে কাঁচা মরিচের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, ঘন,ঘন বৃষ্টির কারনে মরিচের ক্ষেত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেকের মরিচসহ পানিতে পঁচে গেছে। মরিচের দাম বাড়ার এটাই একমাত্র কারণ। এই সমস্যা অব্যাহত থাকলে আগামীতে মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে বলে তারা জানান।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। বাজারে সবজির দাম অপরিবর্তত রয়েছে। বেড়েছে মাছ মাংসের দাম।
রংপুর সিটি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রাহিলা বেগম বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেশি তাই বাধ্য হয়ে কম পরিমাণে কাঁচা মরিচ কিনেতে হচ্ছে।
বাজারে আসা আরেকজন ক্রেতা রিংকু মিয়া বলেন, চালের বাজার মনিটরিং না থাকার কারণে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।