নদী ভাঙ্গনে গাইবান্ধায় ৫ হাজার পরিবার গৃহহীন

গাইবান্ধায় ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ী হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতন জীবন যাপন করছে নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো। বন্যার পানি কমার সাথে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও বাঙ্গালী নদীর স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

।। সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ।।

গাইবান্ধায় ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়ী হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতন জীবন যাপন করছে নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো। বন্যার পানি কমার সাথে গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, ঘাঘট ও বাঙ্গালী নদীর স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে নদী ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

জেলায় প্রায় ৫ হাজার পরিবার ভাঙ্গনের কবলে ভিটাবাড়ী হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সাঘাটা উপজেলার গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফুলছড়ি উপজেলার চর কাবিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঝানঝাইড় কমিউনিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পশ্চিম কালাসোনা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে জিগাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চৌমোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানির তীব্র স্রোতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

গত কয়েক দিনে গোঘাট গ্রামের প্রায় ৭০ ঘরবাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে আরও অন্তত ২ শতাধিক ঘরবাড়ি। ভাঙ্গনের শিকার মানুষ বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দীঘলকান্দি, গোবিন্দপুর, পাতিলাবাড়ি, নলছিয়া, কালুরপাড়া, বেড়া, কচুয়া ইউনিয়নে বাঙ্গালী নদীর ভঙ্গনে রামনগর এবং সাঘাটা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতালিয়া, উত্তর সাথালিয়ার ফ্লাড সেন্টার, গোবিন্দী, হাটবাড়ি, বাঁশহাটা ও হাসিলকান্দি গ্রামের  প্রায় ৯শত পরিবারের ঘরবাড়ী ও আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। নদী ভাঙ্গনে চরম হুমকির মুখে পড়েছে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, দুটি জামে মসজিদ, ৩টি মোবাইল টাওয়ার। অপরদিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর, হরিপুর ও কাপাসিয়ার পোড়ার চরে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। গত দু’সপ্তাহে গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নে বাজে চিথুলিয়া ও চিথুলিয়া গ্রামের ৩১৮টি পরিবার নদী ভাঙ্গনে গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন