|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||
ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুড়িগ্রাম শহরের উপকন্ঠে ধরলা নদীর ওপর গড়ে ওঠা একমাত্র বিনোদনকেন্দ্র ধরলা সেতুপাড় এলাকা।করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউন থাকলেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক চাকুরীজীবিসহ মানুষ ঈদ করতে এসেছেন পরিবার পরিজনকে নিয়ে নিজ জেলায়।এসব মানুষ ঈদে আনন্দ করতে ঘুরতে এসেছেন এ ধরলা সেতুপাড়ে। ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে বিনোদন করতে আসা বিনোদন প্রেমীদের এসময়টাতে এখানে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা যায়।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জেলার বিনোদনপ্রেমী মানুষজন ধরলা নদীর সেতুপাড়ে ঈদের আগের দিন থেকে শুরু করে প্রচন্ড ভিড় করতে থাকেন। ঈদ পেরিয়ে গেলেও সেতুপাড়ে জনসমাগম অনেক। এসব মানুষ এখনো গাদাগাদি করে উপভোগ করছেন আনন্দ।
ঈদের ৬দিনেও জনসাধারণের এর কমতি ছিল নেই। কুড়িগ্রামে নেই কোন পার্ক কিংবা পর্যটন কেন্দ্র। ধরলা নদীর উপর নির্মিত ধরলা সেতুই জেলাবাসীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র। সেতুর দুপাড়ে গ্রোয়েন তার আশে পাশে নদীর তীরে বিভিন্ন উৎসবে আনন্দ করতে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে আসেন ।এবারের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ঈদের দিন থেকে শুরু করে লকডাউন উপেক্ষা করে এখনও চলছে শতশত মানুষের ঢল।
![](https://i0.wp.com/sangbadsarabela.com/wp-content/uploads/2021/05/Kurigram-Eid-Binaodan-Picture-02-16.05.2021.jpg?resize=641%2C347&ssl=1)
স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই কারোর মধ্যে।সেতু পাড়ে ঘুরতে আসা মোহাম্মদ আলী ভুট্টা জানান,দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ।বাচ্চারা করোনা পরিস্থিতিতে বাড়িতে থেকে হাফিয়ে উঠেছে।তাদের আনন্দের কথা বিবেচনা করে শিশুসন্তানসহ একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ধরলা সেতুপাড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছি।
অপরদিকে,কলেজ শিক্ষার্থী শামীমা আক্তার জানায়,মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা বেড়াতে এসেছি।বেড়াতে আসা জনৈক পর্যটক জানান,ঈদ করতে ঢাকা থেকে এসেছি। এখানে নির্মল হাওয়া খেতে মুখে মাস্ক পরিনি।এদিকে,পুলিশের টহল থাকলেও থেমে নেই মানুষের আসা যাওয়া। ধরলা সেতু পাড়ে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক জানান,জেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ধরলা সেতু পাড়ে ঈদের দিন থেকে শতশত মানুষকে সামাল দিতে হচ্ছে।অনেকে মাস্ক না পরে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘণ করে আসার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতিহত করতে আমরা সবোর্চ্চ চেষ্টা করছি।তবে এসব মানুষের উপচে পড়া ভিড় ঠেকাতে আমাদের অনেক হিমশিম খেতে হচ্ছে। গণজমায়েত বন্ধ করতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করলেও ঘুরতে আসা অধিকাংশদের মুখে দেখা যায়নি মাস্ক। গাদাগাদি করে হৈ-হুল্লুর করে ঘুরছেন সবাই।
করোনাকালীন গণজমায়েত বন্ধ তথা সীমিত পরিসরে চলাচলের কথা বলা হলেও এ সেতুপাড়ে এর কোন নিয়ম নেই, পুলিশের ভুমিকা কি? এব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার জান্নাত আরা ফোন রিসিভ করেননি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন , যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তারা রয়েছেন হুমকিতে। ধরলা সেতু এলাকায় পুলিশ টহল রয়েছে। উপস্থিত জনসাধারণকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বলছে পুলিশ। ঝুঁকি রক্ষায় প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ আনন্দ করা। এ অবস্থায় চলতে থাকলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশংকা সংশ্লিষ্ট সব মহলের।