|| সারাবেলা প্রতিবেদন ||
দিনাজপুরে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলা আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিস্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দিনাজপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মামলা নিস্পত্তিতে প্রসিকিউশনের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দিনাজপুরের সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে ভিকটিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্ব-প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে শিশু পূজা ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা মামলা নিস্পত্তিতে দীর্ঘ সুত্রিতার বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মো: আতাউল্লাহ নুরুল কবির।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর দুপুরে ভিকটিম শিশু বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় কয়েকজন ছেলে-মেয়ের সঙ্গে খেলা করছিল। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করে আফজাল হোসেন কবিরাজ।
পরে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাসহ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতসহ সিগারেটের ছ্যাকা দেয়। পরে বাড়ির পাশের একটি হলদী ক্ষেতে পুতে রাখে। এদিকে বাড়ির লোকজন অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে রাতেই পূজার বাবা সুবল চন্দ্র দাস পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরের দিন সকালে পূজাকে বাড়ির পাশের হলদী ক্ষেত থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং প্রথমে স্থানীয় ল্যাম্ব হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর রাতে পুজার বাবা পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।