|| সারাবেলা সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ||
নানা দুর্যোগ পেরিয়ে গাইবান্ধার হাট-বাজারগুলো আসতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। ফলে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাক-সবজির দাম নেমে এসছে অর্ধেকে। তাই সবজি বাজারে শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
সরেজমিনে শুক্রবার গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাবাজরে দেখা যায়, সবজি হাটিতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভির। সম্প্রতি সব ধরণের কাঁচা তরিতরকারির দাম কমায় হাসিও দেখা গেছে তাদের মুখে।
বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৩০ টাকা, বাধাকপি ২৫ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা, মূলা ৪ টাকা, সিম ৩০ টাকা, শাসা ২০ টাকা, লাউ পিস ২০-৩০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লালশাক ২৫ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, ধনেশাক ৩০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত কয়েকদিন আগে এসব শাক-সবজির দাম ছিল দ্বিগুণ।
জানা যায়, চলতি বছরে গাইবান্ধায় ভয়াবহ বন্যা, ভারী বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে কৃষকদের ধান, পাট ও শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পূষিয়ে নিতে কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছেন শীতকালীন সবজি চাষে। এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে নানা জাতের শাক-সবজি।
খুঁচরা বিক্রেতা জাকিরুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহ খানেক পরে আরো প্রচুর পরিমান শাক-সবজি আমদানি হবে। তাই বর্তমান বাজার মূল্য যেটি রয়েছে, সেটি আরো অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
কৃষক খবির উদ্দিন জানান, নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রবিশস্য আবাদ করা হয়। ইতোমধ্যে উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারে বিক্রিও শুরু করা হয়েছে। বাম্পার ফলন অনুযায়ী বাজার দাম যেটাই হোক না কেন, তবুও লাভবান হওয়া সম্ভব।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, জেলার ৭ টি উপজেলায় মোট ৮ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে। এসব কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।