|| অনলাইন প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||
কুড়িগ্রামে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে এবং ধরলা নদীর পানি কমে এখনও বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেন। ফলে বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে এসে পৌঁছেছে। এখনও অনেকের বাড়ি ঘরে পানি রয়েছে এবং নিন্মাঞ্চল তলিয়ে আছে।
টানা এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানি অবস্থান করায় সংকটে রয়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ। ফিরে যেতে পারছেন না তাদের নিজ গৃহে অনেকেই। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে কেউ কেউ। কিছু পরিবারের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও বেশিরভাগ পরিবারের এখনও বন্যার পানি নেমে না যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে এখনও তারা বিপাকে রয়েছেন। এ অবস্থায় হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় তাদের খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশুদ্ধ পানি সংকটে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগ।
সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান জানান, রোগ ব্যধি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সেবা দিতে কবলিত এলাকায় ৮৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে। তাছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্য পানিবাহিত রোগে খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ সব ওষুধ দেয়া সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সরকারি হিসেবেই জেলার ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৬টির ৫৭৯টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণ করার কথা বলা হলেও কুড়িগ্রামে ত্রান নিয়ে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, অনেক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার খারাপ হওয়ার কারনে দেরি হচ্ছে। কোন বানভাসী মানুষ ত্রাণের বাইরে থাকবেন না বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ইতোপুর্বে ৩০২ মে.টন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বিতরণ করেছি। এছাড়া নতুন করে ২শ মে.টন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা ও ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার হাতে পেয়েছি। খুব দ্রুত সেগুলো বন্যার্তদের প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।