করোনায় বিপাকে সুন্দরগঞ্জের পান চাষিরা

করোনার কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় জেলার বাহিরে পান বাজারজাত করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে চাষিরা। বরজ থেকে পান তুলতে না পারায় পান গাছের গোড়া হতে মাথা পর্যন্ত পান।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দিনের পর দিন পান চাষের পরিমান বেড়েই চলছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পানের ফলন ভাল হয়েছে। করোনার কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় জেলার বাহিরে পান বাজারজাত করতে না পারায় বিপাকে পড়েছে চাষিরা। বরজ থেকে পান তুলতে না পারায় পান গাছের গোড়া হতে মাথা পর্যন্ত পান। অধিক লাভের আশায় অনেকে এখন পান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২শত হেক্টর জমিতে পান চাষ করা হচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, বামনডাঙ্গা, তারাপুর, সর্বানন্দ, রামজীবন ইউনিয়নে বেশি পান চাষা হচ্ছে।

শান্তিরাম ইউনিয়নের পান চাষি বেলাল মিয়া বলেন, তিনি আগে পান সুপারি দোকান করতেন। গত ৮ বছর ধরে ২০ শতক জমিতে পান চাষ করছেন। প্রতিবছর খচর বাদে তিনি প্রায় ১ লক্ষ টাকা আয় করেন। বর্তমান বাজারে ৮০টি পান বিক্রি হচ্ছে ১৫ হতে ৩৫ টাকা দরে। করোনা কালে লকডাউনের কারণে পরিবাহন বন্ধ থাকায় বাহিরে পান বিক্রি করতে না পারায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।

কালিতলা বাজারের পান-সুপারির ব্যবকসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউনে কারণে পানের দোকান বন্ধ  রয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা  এ কেএম ফরিদুল হক বলেন, পান চাষে অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠছে। উপজেলায় পান চাষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। চলতি মৌসুমে পানের ফলন ভাল হয়েছে।

সংবাদ সারাদিন