|| উপজেলা প্রতিনিধি, দুর্গাপুর (রাজশাহী) ||
সেফটিক ট্যাংকে পড়ে যায় মোবাইল ফোন। আর সেই ফোন তুলতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মা ও ছেলে। রাজশাহীর দূর্গাপুরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামের মানুষ শোকস্তব্ধ। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছেন পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার কয়ামাজপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থি রাসেল বাড়ির পাশেই রিং স্লাবে তৈরী আধাপাকা পায়খানায় যায়। এসময় তার পকেট থেকে পড়ে যায় তার মোবাইল। বাড়ি ফিরে রাসেল ঘটনাটি তার মা ফিরোজা বেগমকে জানায়। পরে মা ও ছেলে মিলে পড়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি তুলতে যায়। প্রথমে রাসেল হাতে পায়ে পলিথিন জড়িয়ে রিং উঠিয়ে পায়খানার মধ্যে নামেন।
এ সময় মোবাইল ফোন খোঁজার চেষ্টা করতে থাকলে এক পর্যায়ে বিষক্রিয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে রাসেল। বুঝতে পেরে ছেলেকে উদ্ধার করতে তার মা ফিরোজা বেগমও সেফটিক ট্যাংকের মধ্যে নামলে তিনিও বিষক্রিয়ায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ঘটনার কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীরা জানতে পেরে মা ও ছেলেকে সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডা. আব্দুল ওয়াহেদ লালন গিয়ে মা ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ততক্ষনে মা ও ছেলে দু’জনেই মারা গেছেন।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কণা জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।#